সড়কে পড়ে আছে কলেজপড়ুয়া মেয়ের মরদেহ। মেয়ের মাথা গাড়ির চাকায় পিষ্ট হয়ে লেপ্টে গেছে সড়কে। আর পাশেই দাঁড়িয়ে চিৎকার করে কাঁদছিলেন পাগলপ্রায় বাবা। কিছুটা দূরেই পড়ে ছিল তাদের বহনকারী মোটরসাইকেলটি।
শনিবার দুপুরে মর্মান্তিক এমন দৃশ্য দেখা যায় চট্টগ্রামের বায়েজিদ লিংক রোডের ৩ নম্বর সেতু এলাকায়।
ঘটনাস্থলে থাকা একটি বেসরকারি টেলিভিশনের চট্টগ্রাম ব্যুরোপ্রধান সুমন কুমার দে নিউজবাংলাকে এসব তথ্য জানান।
সুমন আরও জানান, সীতাকুণ্ডে ফৌজদারহাটের নিজ বাসা থেকে মেয়ে ফাতেমাকে কলেজে পৌঁছে দিতে মোটরসাইকেলে করে শহরের দিকে আসছিলেন ওমর ফারুক। বৃষ্টি হওয়ায় সড়ক ছিল ভেজা। লিংক রোডের ৩ নম্বর সেতু এলাকায় চাকা পিছলে মোটরসাইকেল নিয়ে পড়ে যান বাবা-মেয়ে।
এ সময় ওমর ফারুক সড়ক বিভাজকের দিকে ছিটকে পড়লেও তার মেয়ে ফাতেমা পড়েন সড়কের মাঝ বরাবর। এ অবস্থায় পেছন থেকে আসা দ্রুতগতির একটি লরি ফাতেমাকে চাপা দিয়ে চলে যায়। লরির চাকায় পৃষ্ট হয়ে রাস্তার সঙ্গে লেপ্টে যায় ফাতেমার মাথা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার। তবে এ ঘটনায় অক্ষত ছিলেন ওমর ফারুক।
নিহত ফাতেমা জাহান নগরীর এনায়েত বাজার মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী। লরিচাপায় তার মৃত্যুর বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন সীতাকুণ্ড থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ।
নিউজবাংলাকে ওসি জানান, আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই ফাতেমার মরদেহটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী সুমন কুমার দে বলেন, ‘মেয়ের মরদেহ রাস্তায় লেপ্টে যাওয়ায় দিশেহারা হয়ে যান বাবা। কী করবেন তিনি বুঝতে পারছিলেন না। চিৎকার করতে করতে একবার ক্ষিপ্ত হয়ে এগিয়ে যান মোটরসাইকেলের দিকে। এটিকে জ্বালিয়ে দিতে চাইছিলেন তিনি। আরেকবার এগিয়ে যান রাস্তা দিয়ে চলন্ত গাড়ির নিচে আত্মহত্যা করতে।’