ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার আগলা ইউনিয়নের খানহাটি এলাকার সোহাগ মিয়ার স্ত্রী সুমা বেগম। বয়স ৩৫। গত বৃহস্পতিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়তলা এলাকায় বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে নিহত হন। তার পর থেকেই তার লাশ ছিল ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে।
শুক্রবার খবর পেয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া যান নিহত সুমা বেগমের স্বামী সোহাগ, ভাসুর হাসানসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা। তিনিই সুমা বেগম, নিশ্চিত হয়েও মরদেহ রেখে চলে আসেন স্বামীসহ অন্য স্বজনরা।
আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে পরিবহন ভাড়া না থাকায় মরদেহ নেননি বলে জানান তারা।
পরে ‘বেওয়ারিশ’ হিসেবে সুমা বেগমের মরদেহ দাফন করে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘বাতিঘর’।
বাতিঘরের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান আজহার উদ্দিন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সুমা বেগমের বিষয়টি খুবই মর্মান্তিক। আমরা বেওয়ারিশ লাশ দাফন করি। সেখানে সুমা বেগমের স্বামী-স্বজনরা থেকেও তার লাশ নিতে অপারগতা প্রকাশ করে। তাই আমরা বাদ জোহর জানাজা করে লাশটিকে বেওয়ারিশ লাশের কবরস্থানে দাফন করেছি।’
সংগঠনের প্রতিষ্ঠার পর থেকে ৫৬টি লাশ বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
আখাউড়া রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল করীম বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার সুমা বেগমের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। কিন্তু তার পরিবারের কেউই লাশ গ্রহণ করেননি। তাই লাশটি দাফন করে বাতিঘর।’
বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে সুমা বেগমের স্বজনদের ফোন করা হলেও তারা কেউ ফোন রিসিভ করেননি।