বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ইনিয়ে-বিনিয়ে ইভিএমের গুণগানে ইসি: জি এম কাদের

  •    
  • ২৩ জুলাই, ২০২২ ১৮:৫২

জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে অনুষ্ঠিত সভায় শতকরা ৮০ ভাগ রাজনৈতিক দল ইভিএমের বিপক্ষে মতামত দিয়েছে। কিন্তু নির্বাচন কমিশন বারবার সভা ডেকে ইনিয়ে-বিনিয়ে ইভিএমেরই গুণাগুণ বর্ণনা করছে। নির্বাচন কমিশনের বোঝা উচিত, দেশের মানুষ কোনো কারচুপির নির্বাচন গ্রহণ করবে না।’

বারবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সভা ডেকে ইনিয়ে-বিনিয়ে নির্বাচন কমিশন ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএমেরই গুণগান করছে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের।

এমন কি, ৮০ শতাংশ রাজনৈতিক দল ইভিএমের বিরুদ্ধে মত দিলেও তাতেই ভোট নেয়ার কথা বলছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

শনিবার জি এম কাদের তার বনানীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সংসদ সদস্যদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক সভায় এমন মন্তব্য করেন।

জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে অনুষ্ঠিত সভায় শতকরা ৮০ ভাগ রাজনৈতিক দল ইভিএমের বিপক্ষে মতামত দিয়েছে। কিন্তু নির্বাচন কমিশন বারবার সভা ডেকে ইনিয়ে-বিনিয়ে ইভিএমেরই গুণাগুণ বর্ণনা করছে। নির্বাচন কমিশনের বোঝা উচিত, দেশের মানুষ কোনো কারচুপির নির্বাচন গ্রহণ করবে না।’

কাদের বলেন, ‘পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ যখন ইভিএম বর্জন করছে, তখন নির্বাচন কমিশন ইভিএমের গুণগান শুরু করেছে। এতে জনমনে এ নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হচ্ছে। এখনো দেশের অনেক ভোটার প্রার্থীর নাম পড়ে, ভোট দিতে পারে না, মার্কা দেখে নির্বাচনে ভোট দেয়। এমন বাস্তবতায় ইভিএমে নির্বাচন আয়োজনের চেষ্টা দুরভিসন্ধি বলে মনে করছেন সাধারণ মানুষ।’

জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান বলেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বললেই কিছু রাজনৈতিক নেতা মনে করেন তাকে গালি দেয়া হয়েছে। আসলে আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তন করতে হবে। দেশের মানুষ আর যেনতেন নির্বাচন চায় না। দেশের মানুষ চায়, সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে তাদের পছন্দের প্রতিনিধি নির্বাচন করতে।’

এ সময় জি এম কাদের দাবি করেন, ‘১৯৯০ সালে জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ রাষ্ট্রক্ষমতা হস্তান্তর করার পর দেশে অপরাজনীতি শুরু হয়েছে। তারা দেশের জনগণের স্বার্থের রাজনীতির বিপরীতে প্রতিহিংসার রাজনীতি চালু করেছে। দল দুটি উৎসবের নির্বাচনকে সহিংস করে তুলেছে।

‘তাই এখন নির্বাচন যেন যুদ্ধ। যে দল জাতীয় নির্বাচনে পরাজিত হবে, তাদের নিশ্চিহ্ন হবার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। পরাজিত দলের অস্বিত্ব টিকিয়ে রাখা দুরুহ হয়ে পড়বে। এটা কোন রাজনৈতিক সংস্কৃতি হতে পারে না। এমন বাস্তবতা থেকে দেশ ও দেশের রাজনীতি নিরাপদ করতেই জাতীয় পার্টির সংগ্রাম।’

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টি মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু, দলের কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, কাজী ফিরোজ রশীদ, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, প্রেসিডিয়াম সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, গোলাম কিবরিয়া টিপু, ফকরুল ইমাম, হাবিবুর রহমান, সুনীল শুভরায়, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী, হাজী সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন, এটিইউ তাজ রহমান, মসিউর রহমান রাঙ্গা, সোলায়মান আলম শেঠ, নাসরিন জাহান রতনা, আব্দুর রশীদ সরকার, আলহাজ্ব শফিকুল ইসলাম সেন্টু, ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, এডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া।

এ বিভাগের আরো খবর