বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রনির অবস্থান কর্মসূচিতে ডিম ছুড়ল কারা

  •    
  • ২৩ জুলাই, ২০২২ ১৮:১৭

শনিবার বিকেল পৌনে ৫টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। তার আগে বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে রনি রেলস্টেশনের প্রধান ফটকের বাইরে অবস্থান নেন। এ সময় তার সঙ্গে আরও ১০-১২ জন বন্ধু অবস্থান নেন সেখানে।

রেলওয়ের অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে গত ৭ জুলাই থেকে ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশনে অবস্থান করা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রনি ৬ দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছেন। শনিবার তার অবস্থানস্থলে ডিম ছোড়ার ঘটনা ঘটেছে।

তবে কে বা কারা সেই ডিম ছুড়েছে, তা বলতে পারেননি রনি ও উপস্থিত অন্যরা। রনির অভিযোগ, তাকে তার নায্য দাবি থেকে সরাতে একটি মহল নানাভাবে হয়রানির চেষ্টা করে যাচ্ছে।

শুক্রবারও তাকে আওয়ামী লীগের কর্মী পরিচয়ে এক ব্যক্তি নানা ধরনের প্রশ্ন করার পর রনির সঙ্গে অবস্থানে থাকা সাধারণ মানুষ ওই ব্যক্তিকে ধাওয়া দেয়। তার এক দিন পরই ডিম ছোড়ার ঘটনা ঘটেছে।

সেই ডিম রনির গায়ে না পড়লেও অবস্থানস্থলে দাঁড়িয়ে থাকা এক বৃদ্ধের গায়ে পড়ে।

শনিবার বিকেল পৌনে ৫টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। তার আগে বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে রনি রেলস্টেশনের প্রধান ফটকের বাইরে অবস্থান নেন। এ সময় তার সঙ্গে আরও ১০-১২ জন বন্ধু অবস্থান নেন সেখানে।

ডিম ছোড়ার বিষয়ে সেই বৃদ্ধ বলেন, ‘আমি সেই ভাইয়ের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলাম। হঠাৎ পেছন থেকে ডিম আমার গায়ে এসে পড়ে। আমার সামনে আরেক ভাই ছিল। ওনার ওপরও ডিমের পানি পড়েছে। তবে কারা মেরেছে সেটি দেখিনি।’

মহিউদ্দিন রনি বলেন, ‘বিভিন্নভাবে আমাকে হয়রানির চেষ্টা করা হচ্ছে। এখন ডিম ছোড়ার ঘটনা ঘটছে। তারা সামনাসামনি আমাকে মোকাবিলা করতে না পেরে পেছন থেকে আক্রমণ করার চেষ্টা করছে। আমি তাদের উদ্দেশে বলব, সাহস থাকলে সামনে এসে যেন আমাকে মোকাবিলা করে।’

ফের স্টেশনে রনিকে প্রবেশে বাধা

গত কয়েক দিনের মতো শনিবারও স্টেশনে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রনিকে।

বাধা পেয়ে তিনি ও তার বন্ধুরা কমলাপুর স্টেশনের বাইরে অবস্থান নেন।

রনি স্টেশনে যাচ্ছেন খবর পেয়ে আগে থেকেই স্টেশনে প্রবেশের প্রধান গেট বন্ধ করে রাখেন নিরাপত্তাকর্মীরা।

মেইন গেট বন্ধ করে দিলেও ট্রেনের যাত্রীদের জন্য সরু কয়েকটি ফটক খোলা রেখেছেন নিরাপত্তাকর্মীরা। সরু সেই গেট দিয়ে টিকিট দেখে যাত্রীদের ভেতরে প্রবেশ করাচ্ছে রেল কর্তৃপক্ষ। সে গেটের ভেতর রেলওয়ে পুলিশের সতর্ক অবস্থান লক্ষ করা গেছে।

এদিকে রনি যখন গেটের সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন, তখন গেটের বিপরীত পাশে থাকা নিরাপত্তাকর্মীরা মাইকে বারবার বলছেন, রেলওয়ে জাতীয় সম্পদ এবং সরকারি স্থাপনা। সরকারি স্থাপনা রক্ষা আমাদের সকলের দায়িত্ব। এখানে কেউ অনুপ্রবেশ করবেন না।

এ সময় তারা সাধারণ যাত্রীদের চলাচলে বিঘ্ন না ঘটানোরও আহ্বান জানান।

এ বিষয়ে রনি বলেন, ‘আমরা তো অনুপ্রবেশ করতে আসিনি। আমি যতবারই এখানে এসেছি, ততবারই বৃহৎ পরিসরে এসেছি এবং প্রবেশ করেছি। সুতরাং তাদের অনুরোধ করব, তারা যেন অনুপ্রবেশ না বলে বৃহৎ প্রবেশ বলে।’

দাবির বিষয়ে রনি বলেন, ‘আমার সাথে এখনও রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের কেউ যোগাযোগ করেনি। তবে বিভিন্ন শব্দে, বিভিন্ন মাধ্যমে অনেক প্রস্তাব আসতেছে। এসব প্রস্তাব রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ থেকেই দিচ্ছে। তাদের প্রস্তাবগুলো এমন, তারা যেন বেঁচে যায়, আর আমি যেন ঠিক থাকি। তবে এসব নিয়ে বিস্তারিত পরে বলব।’

তিনি বলেন, ‘আমার এসব দাবি যতদিন পূরণ না হবে, ততদিন আন্দোলন চলবে। মহামান্য হাইকোর্ট কী রায় দেয় সেটির জন্য অপেক্ষা করছি।’

এ বিভাগের আরো খবর