বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নানা পেশার আড়ালে মাদকের কারবার, গ্রেপ্তার ৭

  •    
  • ২৩ জুলাই, ২০২২ ১৭:১৯

ঢাকা ও ফতুল্লাকেন্দ্রিক মাদক সিন্ডিকেটের গ্রেপ্তার হওয়া সাতজনের কাছ থেকে ১১ হাজার ২০০ পিস ইয়াবা ও ২০০ গ্রাম আইস এবং নগদ ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা জব্দ করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।

ভিন্ন ভিন্ন পেশার আড়ালে মাদক কারবার চালিয়ে যাওয়া সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি)। তাদের কাছ থেকে ১১ হাজার ২০০ পিস ইয়াবা ও ২০০ গ্রাম আইস এবং নগদ ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা জব্দ করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃত সবাই ঢাকা ও ফতুল্লাকেন্দ্রিক মাদক ইয়াবা ও আইস সিন্ডিকেটের সদস্য বলে নিশ্চিত করেছেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (ঢাকা মেট্রো-উত্তর) উপপরিচালক মো. রাশেদুজ্জামান।

তিনি বলেন, আমাদের কাছে গোপন তথ্য ছিল যে ঢাকা ও ফতুল্লাকেন্দ্রিক একটি মাদক সিন্ডিকেট বিভিন্ন পেশার আড়ালে টেকনাফ থেকে ইয়াবা ও আইস এনে বিক্রি করে আসছে। এর পর থেকে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় নজরদারি চালিয়ে ২২ ও ২৩ জুলাই ঢাকা ও ফতুল্লায় অভিযান চালিয়ে সিন্ডিকেটের সাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন রফিক উল্লাহ, সরওয়ার কামাল, ইমরান হোসেন, মহাসিন, মিরাজ শেখ, প্রান্ত ভট্টাচার্য ও মামুনুর রশীদ মিম।

রাশেদুজ্জামান বলেন, ‘রফিক উল্লাহ পেশায় মুদি দোকানদার। হাতিরঝিল থানাধীন নয়াটোলা এলাকায় তার মুদির দোকান রয়েছে। তার গ্রামের বাড়ি টেকনাফে। তার কাছ থেকে এক হাজার পিস ইয়াবা ও ২০০ গ্রাম মিথাইল অ্যামফিটামিনযুক্ত ক্রিস্টাল ম্যাথ (আইস) জব্দ করা হয়েছে।

সরওয়ার কামালকে দুই হাজার পিস ইয়াবাসহ তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানাধীন বেগুনবাড়ী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পেশায় তিনি একজন শ্রমিক। তার গ্রামের বাড়িও টেকনাফে। এক হাজার পিস ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার হওয়া ইমরান হোসেন ছোটখাটো ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। তার গ্রামের বাড়ি বরিশালে।

মহাসিন টি-শার্ট ও বেল্ট বিক্রি করেন। নারায়ণগঞ্জের বাসিন্দা এই যুবক ব্যবসার আড়ালে মাদকের কারবার করতেন। তার কাছ থেকে চার হাজার পিস ইয়াবা ও ইয়াবা বিক্রির ৩ লাখ টাকা জব্দ করা হয়।

অটোরিকশাচালক মিরাজ শেখকে দুই হাজার পিস ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার করা হয়। তার গ্রামের বাড়ি রাজবাড়ীতে।

তাদের গ্রেপ্তারের পর আসামি রফিক উল্লাহর দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে হাতিরঝিল থানা এলাকা থেকে অন্য দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের মধ্যে প্রান্ত ভট্টাচার্যের কাছ থেকে এক হাজার পিস ইয়াবা ও মাদক বিক্রির ২০ হাজার টাকা জব্দ করা হয়। নাটোরের বাসিন্দা প্রান্ত একটি পরিবহন কোম্পানির সুপারভাইজার। আর মামুনুর রশীদ মিম পেশায় একজন ইলেকট্রিশিয়ান। তার কাছ থেকে ২০০ পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়। তার গ্রামের বাড়িও নাটোরে।

ইতোমধ্যে রফিক উল্লাহ ও ইমরান হোসেনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। অন্যদেরও আদালতে সোপর্দ করার প্রক্রিয়া চলমান।

এ বিভাগের আরো খবর