বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিয়ের দাবিতে অবস্থান নেয়া নারীকে হত্যা: দুজন গ্রেপ্তার

  •    
  • ২৩ জুলাই, ২০২২ ১৫:৩৪

গ্রেপ্তাররা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছেন জানিয়ে র‍্যাব কর্মকর্তা বলেন, ‘আসামিদের মামলার তদন্ত কর্মকর্তার কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। অন্য আসামিদেরও গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে বিয়ের দাবিতে অবস্থান নেয়া রোকসানা বেগম নামে এক নারীকে পিটিয়ে হত্যা মামলার প্রধান আসামিসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব।

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া থানার ভবেরচর এলাকায় শুক্রবার রাতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

র‍্যাব-১১-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তানভীর মাহমুদ পাশা শনিবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।

গ্রেপ্তাররা হলেন ৪৫ বছরের মো. মনির হোসেন ও ৪০ বছরের মো. আমির।

ঘটনার বর্ণনায় র‍্যাব অধিনায়ক বলেন, ‘সাত বছর আগে রোকসানা বেগমের সঙ্গে তার স্বামীর ডিভোর্স হয়। এর পর থেকে একমাত্র ছেলেকে নিয়ে ছোট ভাইয়ের বাড়িতে থাকতেন রোকসানা। কাজ করতেন বাইশটেকী গ্রামের একটি জামদানি শাড়ি তৈরির কারখানায়।

সেখানে মনির হোসেনের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘একপর্যায়ে রোকসানা বিয়ের ব্যাপারে মনিরকে চাপ দেন। মনির তার মেয়েকে বিয়ে দেয়ার পর রোকসানাকে বিয়ে করবেন বলে আশ্বাস দেন। চলতি বছরের ১৫ জুলাই মনিরের মেয়ের বিয়ে হয়। ১৮ জুলাই মনিরের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে যান রোকসানা। পরে সেখানে অবস্থান নেন।

‘পরে মনিরের বাড়ির লোকজন রোকসানাকে একাধিকবার বাড়ি থেকে টেনেহিঁচড়ে বের করে দেন। কিন্তু বাড়িতে অবস্থানে অনড় থাকায় মনির, তার ভাই গোলজার, খোকন ও তার ছেলে রানা এবং মনিরের স্ত্রী তাকে লোহার পাইপ, লাঠিসোঁটা দিয়ে পিটিয়ে আহত করেন।’

র‍্যাব কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘মুমূর্ষু অবস্থায় মনির ও তার সহযোগীরা তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানেই রোকসানার মৃত্যু হয়। পরে পালিয়ে যান মনির ও তার সহযোগীরা। এ ঘটনায় রোকসানার ছোট ভাই মো. এনামুল হোক সোনারগাঁও থানায় হত্যা মামলা করেন।’

গ্রেপ্তাররা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আসামিদের মামলার তদন্ত কর্মকর্তার কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। অন্য আসামিদেরও গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’

এ বিভাগের আরো খবর