বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সেতু ভেঙে যান চলাচল বন্ধ, আটকা দুই শতাধিক গাড়ি

  •    
  • ২৩ জুলাই, ২০২২ ১৫:২০

ট্রাকচালক হুমায়ূন খালাসী বলেন, ‘চট্টগ্ৰাম থেকে রড নিয়ে গোপালগঞ্জ যাচ্ছি। এখানে এসে দেখি সেতু ভাঙা। বড় ট্রাক নিয়ে বিকল্প সড়কেও যেতে পারছি না। মালিক বারবার ফোন দিচ্ছে। দ্রুত পৌঁছতে না পারলে বড় ধরনের লোকসানে পড়তে হবে।’

শরীয়তপুরের মহিষার এলাকায় বেইলি সেতু ভেঙে খুলনা-চট্টগ্ৰাম আঞ্চলিক সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন এ পথে চলাচলকারীরা।

শনিবার ভোর ৫টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানান শরীয়তপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ভুঁইয়া রেদোয়ানুল রহমান।

তিনি জানান, সকাল ১০টার দিকে সেতুটি মেরামতের কাজ শুরু হয়েছে। সব কাজ শেষ হতে আরও অন্তত ১৫ ঘণ্টা সময় লাগতে পারে। তবে এরই মধ্যে আটকা পড়েছে দুই শতাধিক পণ্য ও যাত্রীবাহী যানবাহন।

চট্টগ্ৰামের সঙ্গে খুলনা, বরিশাল, বেনাপোলসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোর যাতায়াতের সুবিধার্থে ২০০০ সালে চালু হয় খুলনা-চট্টগ্রাম ভায়া শরীয়তপুর আঞ্চলিক সড়ক। সড়কের শরীয়তপুরের ৩৫ কিলোমিটার অংশে ছোট-বড় পাঁচটি বেইলি সেতু রয়েছে। প্রতিটি সেতুই ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় প্রায়ই সেতু ভেঙে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে সড়কটি চার লেনে উন্নীত করার পাশাপাশি বেইলি সেতু ভেঙে আরসিসি সেতু নির্মাণ কাজ করছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। প্রতিদিন এই সড়কে অন্তত তিন হাজার যানবাহন চলাচল করে।

শরীয়তপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ভুঁইয়া রেদোয়ানুল রহমান জানান, মহিষার এলাকার বেইলি সেতুটি আগে থেকেই ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। সেতুতে পাঁচ টনের বেশি ওজন বহনকারী যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা ছিল। শনিবার ভোরে অধিক ওজনের রডবোঝাই ট্রাক পারাপারের সময় সেতুর ক্লামসহ পাটাতন ভেঙে পড়ে। এতে এই সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ক্রেনের মাধ্যমে ক্লাম টেনে তুলে সেতু সংস্কারের কাজ চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সেতু ভেঙে যাওয়ায় যাত্রী ও পণ্যবাহী যানবাহনকে বিকল্প পথে ডামুড্যা, কার্তিকপুর সড়ক হয়ে চলাচল করতে নির্দেশনা দিয়েছে ভেদরগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন।’ ভেদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সেতুটি মেরামতে কিছুটা সময় লাগতে পারে। তাই যাত্রীদের দুর্ভোগ লাঘবে বিকল্প পথে চলাচলের অনুরোধ করেছি।’

বাসে চট্টগ্রাম থেকে খুলনা যাওয়ার পথে সকাল থেকে মহিষার এলাকায় পরিবারসহ আটকা আছেন আছিয়া খাতুন। তিনি বলেন, ‘সকাল ৮টায় এখানে এসে শুনতে পাই সেতু ভেঙে গেছে। ৬ ঘণ্টা হতে চলল। কখন সেতু মেরামত হবে তাও বলতে পারছে না কেউ। তীব্র গরমে শিশুসন্তানসহ পরিবার নিয়ে ভোগান্তিতে রয়েছি।’

ট্রাকচালক হুমায়ূন খালাসী বলেন, ‘চট্টগ্ৰাম থেকে রড নিয়ে গোপালগঞ্জ যাচ্ছি। এখানে এসে দেখি সেতু ভাঙা। বড় ট্রাক নিয়ে বিকল্প সড়কেও যেতে পারছি না। মালিক বারবার ফোন দিচ্ছে। দ্রুত পৌঁছতে না পারলে বড় ধরনের লোকসানে পড়তে হবে।’

সেতু মেরামতের কাজ হচ্ছে খুবই ধীরগতিতে অভিযোগ করে বাসযাত্রী আব্দুর রশিদ বলেন, ‘এখানে বিশ্রাম বা খাওয়া-দাওয়ার কোনো ব্যবস্থা নেই। তীব্র গরমে না খেয়ে অসহনীয় কষ্টে আছি। বাসের সব যাত্রীই ভোগান্তিতে আছে। যেন কারও কোনো মাথাব্যথা নেই।’

এ বিভাগের আরো খবর