কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে গৃহবধূকে হাত-মুখ বেঁধে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
রাজধানীর গুলিস্তান এলাকায় অভিযান চালিয়ে শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২৭ জুন রাতে ওই নারী দুজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় ৩-৪ জনকে আসামি করে করিমগঞ্জ থানায় মামলা করেন। এজাহারে তিনি উল্লেখ করেন আগের দিন ঘটনার শিকার হন।
মামলায় প্রধান আসামি করা হয় চরপাড়া এলাকার ৪২ বছর বয়সী শফিকুল ইসলাম ও ২ নম্বর আসামি করা হয় কামাল উদ্দিনকে। এ ছাড়াও অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার ৪২ বছরের আসামির নাম কামাল উদ্দিন। তিনি করিমগঞ্জ উপজেলার চরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
র্যাব-১৪, সিপিসি-২ কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক মেজর শাহরিয়ার মাহমুদ খান সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এজাহারে বলা হয়েছে, ওই নারীর স্বামী ঢাকায় সবজির ব্যবসা করেন। ৭ বছর বয়সী ছেলেকে নিয়ে একাই ওই ঘরে থাকতেন তিনি। বাড়ি ফাঁকা আছে জেনে স্থানীয় শফিকুল ও কামাল এসে তার দরজায় কড়া নাড়ে। দরজা খুলতেই তার মুখ চেপে ধরে নিয়ে যায় বাড়ির পাশের একটি পাটক্ষেতে। সেখানে তার হাত-মুখ বেঁধে তাকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে। পরে ওই গৃহবধূর চিৎকার শুনে এগিয়ে যায় প্রতিবেশীরা। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে করিমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
র্যাব-১৪, সিপিসি-২ কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক মেজর শাহরিয়ার মাহমুদ খান বলেন, ‘আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সংঘবদ্ধ ধর্ষণে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন কামাল। ঘটনার পর থেকে গ্রেপ্তার এড়াতেই এলাকা ছেড়ে ঢাকায় পালিয়ে আসেন কামাল। তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’