বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রাশিয়ার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার ফল ভোগ করছে সবাই: প্রধানমন্ত্রী

  •    
  • ২৩ জুলাই, ২০২২ ১৩:০২

প্রধানমন্ত্রী বিশ্ব পরিস্থিতি তুলে ধরে বলেন, ‘আরেকটা আঘাত আসল এই ইউক্রেন যুদ্ধ। সঙ্গে সঙ্গে আবার আমেরিকা দিল রাশিয়ার ওপর স্যাংশন (নিষেধাজ্ঞা)। ডলারে যে আদান-প্রদান, সুইফট বন্ধ করে দেয়া হলো। এতে আমাদের মতো দেশই শুধু না, উন্নত দেশের কথাই বলব, সবাই কিন্তু ভুক্তভোগী।’

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে রাশিয়ার ওপর দেয়া যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞার ফল সারা বিশ্ব ভোগ করছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রাজধানী ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক প্রদান অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে যুক্ত হয়ে শনিবার তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বিশ্ব পরিস্থিতি তুলে ধরে বলেন, ‘আরেকটা আঘাত আসল এই ইউক্রেন যুদ্ধ। সঙ্গে সঙ্গে আবার আমেরিকা দিল রাশিয়ার ওপর স্যাংশন (নিষেধাজ্ঞা)। ডলারে যে আদান-প্রদান, সুইফট বন্ধ করে দেয়া হলো। এতে আমাদের মতো দেশই শুধু না, উন্নত দেশের কথাই বলব, সবাই কিন্তু ভুক্তভোগী।

‘এই একটি সিদ্ধান্তের কারণেই কিন্তু আমাদের সার কেনা বা খাদ্য কেনা বা জ্বালানি তেল কেনা সব ক্ষেত্রেই কিন্তু বাধাগ্রস্ত হতে হচ্ছে। সারা বিশ্বই আজকে একটা বিভীষিকার মধ্যে পড়ে গেছে। আমি মনে করি যে, কেউ যদি মনে করেন যে একটি স্যাংশন দিলেই যদি একটা দেশকে শিক্ষা দেয়া গেল, সে শিক্ষা যেটা দিল, সেই শিক্ষা কিন্তু এখন সবাই ভোগ করছে। সবাই এখন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের দেশে যেমন মূল্যস্ফীতি বেড়েছে, উন্নত দেশগুলোতে অনেক বেশি বেড়েছে। জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে। বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের কথা শুধু আমরাই নই, উন্নত দেশগুলোও সুনির্দিষ্ট করে দিয়েছে যে, বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে হবে। সেটা আপনি ইংল্যান্ড বলেন বা আমেরিকা বলেন বা ইউরোপের কথা বলেন, আমি উন্নত দেশগুলোর কথাই বলব। তাদের অবস্থাই এখন করুণ।

‘সেখানে আমাদের অবস্থা এখন কোথায়? আপনারা আপনাদের অবস্থা থেকে কাজ করছেন বলেই তো আমরা অনেক দেশের তুলনায় ভালো আছি।’

এ সংকটেও হতাশ না হতে সরকারি কর্মকর্তাদের আত্মবিশ্বাস ধরে রাখার তাগিদ দেন সরকারপ্রধান। তিনি বলেন, ‘আমি জানি এ নিয়ে আমাদের পত্রপত্রিকায় হয়তো নানা কথা লিখবে বা বিরোধী দলও কথা বলবে। হ্যাঁ বিরোধী দল কথা বলবে। এটা বলাই তো তাদের কর্তব্য। তারা বলে যাক। আমাদের আত্মবিশ্বাস রাখতে হবে, আমরা সঠিক পথে আছি কি না, ঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করছি কি না এবং দেশের সাধারণ মানুষ… গ্রামের ওই তৃণমূল মানুষটা, সে সেবা পাচ্ছে কি না।

‘আমরা যদি সেভাবে চিন্তা করি, কে কী বলল সেদিকে খুব একটা নজর দিতে হবে না। আমরা সেটা শুনে দেখতে পারি যে, আমাদের কোথাও কোনো ঘাটতি আছে কি না। সেটুকু আমরা নেব, কিন্তু এ কথায় যেন কেউ বিভ্রান্ত না হন, নিজেরা যেন হতাশ না হন। এদিকে আমি সচেতন হতে বলব। হতাশ হওয়ার কিছু নেই। যখন যে অবস্থা হবে, তার সঙ্গে মানিয়ে নিয়েই আমাদের চলতে হবে। তার পরেও আমাদের নিজেদের যতটুকু ব্যবস্থা আছে, সেটা নিয়ে আমরা চলব।’

এ বিভাগের আরো খবর