চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) শিক্ষার্থীকে যৌন হেনস্তার ঘটনায় জড়িতদের ধরতে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি আবাসিক হলে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ ও প্রক্টরিয়াল বডি। তবে কাউকে আটক করতে পারেনি।
শুক্রবার রাত ১টা থেকে ২টা পর্যন্ত শাহ আমানত হলে অভিযান চালানো হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভুঁইয়া নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী ধারণা করেছে, সন্দেহভাজন কেউ হলে থাকতে পারে। সে জন্য হলে রেড চালানো হয়।’
প্রক্টর আরও বলেন, ‘ওই ছাত্রী প্রথমে সময় ও জায়গার ব্যাপারে ভুল তথ্য দিয়েছিলেন। এ কারণে দোষীদের শনাক্ত করতে সময় লেগেছে। পরে ছাত্রীর তথ্যের ভিত্তিতে দুজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের একজনের নাম মেহেদী হাসান হৃদয় ও আরেকজন আজিম হোসাইন।’
গত ২০ জুলাই বিকেলে হাটহাজারী থানায় যৌন হেনস্তার অভিযোগে অজ্ঞাতপরিচয় ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন ওই ছাত্রী।
বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মহিউদ্দিন সুমন নিউজবাংলাকে জানান, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধিত ২০০৩) এর ১০ ধারায় মামলা করা হয়েছে। এজাহারে পথরোধ করে মারধর, ছিনতাই ও অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে হুমকি দেয়ার অভিযোগ তোলা হয়েছে।
আগের দিন গত ১৯ জুলাই প্রক্টরের কাছে হেনস্তার লিখিত অভিযোগ করেন চবির ওই ছাত্রী। এতে তিনি জানান, ১৭ জুলাই রাত সাড়ে ৯টার দিকে তিনি ও তার বন্ধু প্রীতিলতা হলে ফেরার সময় কাছের একটি সড়কে কয়েক যুবক তাদের পথরোধ করেন। তাদের মারধর করে বোটানিক্যাল গার্ডেনের পেছনে ঝোঁপে নিয়ে যান যুবকরা।
ছাত্রী আরও জানান, তাকে বিবস্ত্র করে মোবাইলে ভিডিও করা হয় এবং সেই ভিডিও ভাইরাল করার হুমকি দিয়ে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করতে চান যুবকরা। তার বন্ধু এর প্রতিবাদ করলে তার ওপরও নির্যাতন করা হয়। পরে যুবকরা দুজনের মোবাইল ও মানিব্যাগ ছিনতাই করে পালিয়ে যান।
এদিকে ঘটনার সঙ্গে সরাসরি জড়িত চারজনকে শনিবার গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে র্যাব।
র্যাব-৭-এর জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) নুরুল আবছার শনিবার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের ঘটনায় আমরা চারজনকে গ্রেপ্তার করেছি। সংবাদ সম্মেলনে বেলা ১১টার দিকে তাদের ব্যাপারে বিস্তারিত জানানো হবে।’