চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ছাত্রীকে ‘যৌন হেনস্তা’য় সরাসরি জড়িত চারজনকে গ্রেপ্তার করার কথা জানিয়েছে র্যাব।
র্যাব-৭-এর জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) নুরুল আবছার শনিবার নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের ঘটনায় আমরা চারজনকে গ্রেপ্তার করেছি। সংবাদ সম্মেলনে বেলা ১১টার দিকে তাদের ব্যাপারে বিস্তারিত জানানো হবে।’
গত ২০ জুলাই বিকেলে হাটহাজারী থানায় যৌন হেনস্তার অভিযোগে অজ্ঞাতপরিচয় ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন ওই ছাত্রী। ঘটনা তদন্তে কমিটি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুহুল আমিন সবুজ এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মহিউদ্দিন সুমন নিউজবাংলাকে জানান, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধিত ২০০৩) এর ১০ ধারায় মামলা করা হয়েছে। এজাহারে পথরোধ করে মারধর, ছিনতাই ও অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে হুমকি দেয়ার অভিযোগ তোলা হয়েছে।
গত ১৯ জুলাই প্রক্টরের কাছে হেনস্তার লিখিত অভিযোগ করেন চবির ওই ছাত্রী। এতে তিনি জানান, ১৭ জুলাই রাত সাড়ে ৯টার দিকে তিনি ও তার বন্ধু প্রীতিলতা হলে ফেরার সময় কাছের একটি সড়কে কয়েক যুবক তাদের পথরোধ করেন। তাদের মারধর করে বোটানিক্যাল গার্ডেনের পেছনে ঝোঁপে নিয়ে যান যুবকরা।
ছাত্রী আরও জানান, তাকে বিবস্ত্র করে মোবাইলে ভিডিও করা হয় এবং সেই ভিডিও ভাইরাল করার হুমকি দিয়ে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করতে চান যুবকরা। তার বন্ধু এর প্রতিবাদ করলে তার ওপরও নির্যাতন করা হয়। পরে যুবকরা দুজনের মোবাইল ও মানিব্যাগ ছিনতাই করে পালিয়ে যান।
এ ঘটনায় দুই দিন পর পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এস এম মনিরুল হাসানের সই করা কমিটিতে আহ্বায়ক করা হয় প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়াকে।