গ্রিসে অনিবন্ধিতভাবে বসবাসকারী ১৫ হাজার বাংলাদেশিকে বৈধতা দিতে যাচ্ছে সে দেশের সরকার। এরপর প্রতিবছর দেশটি বাংলাদেশ থেকে অন্তত চার হাজার কর্মী নেবে।
শুক্রবার বিকেলে রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন এ তথ্য জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের অ্যাম্বাসেডর জানিয়েছেন যে গ্রিসের সঙ্গে একটি চুক্তি সই হয়েছে। তারা আমাদের ১৫ থেকে ১৮ হাজার অনিবন্ধিত কর্মীকে নিয়মিত করবে।
‘প্রতিবছর ৪ থেকে ৫ হাজার লোক সেখানে নেবে। গ্রিস ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রথম দেশ, যারা এমন কিছুতে রাজি হয়েছে। এটা আমাদের জন্য ভালো খবর।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এর আগে সংসদ অধিবেশনে প্রস্তাবিত ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে বলেছিলেন, ‘কোভিড ১৯ সত্ত্বেও দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের কর্মী প্রত্যাহার কম হয়েছে। করোনা মহামারির কারণে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করে দক্ষিণ কোরিয়া, জর্ডান, মালদ্বীপ, লেবানন, মালয়েশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, গ্রিস, সৌদি আরব, বাহরাইন ও কাতারে কর্মী গ্রহণ ও গমন প্রক্রিয়া সচল রাখা হয়েছে।
‘ইতোমধ্যে নতুন শ্রমবাজার হিসেবে রোমানিয়ায় কর্মী পাঠানো শুরু হয়েছে। সার্বিয়ায় শ্রমবাজার সম্প্রসারণ প্রক্রিয়াধীন।’
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে গ্রিসের অভিবাসন মন্ত্রী নতিস মিতারাচি যখন ঢাকা সফর করেন তখন দুই দেশের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর ৪ হাজার কর্মী নেয়া ও অবৈধদের বৈধ করার বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়।