অবৈধ বিদেশি পিস্তল ও ছয় রাউন্ড গুলিসহ ফরিদপুর সদরের ঈশান গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সহিদুল ইসলাম মজনুকে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।
শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঈশান গোপালপুর ইউনিয়নের বাবুপাড়া নামক এলাকা থেকে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল তাকে আটক করে। এ সময় তার সহযোগী সোহেল হোসেনকে আটক করে পুলিশ।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ফরিদপুর গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাকিবুল ইসলাম।
সহিদুল ইসলাম ঈশান গোপালপুর ইউনিয়নের বিষ্ণুপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি জেলা যুবলীগের সাবেক সদস্য। তার সহযোগী সোহেলের বাড়ি শহরের বায়তুল আমান এলাকায়।
আটকের সময় সহিদুলের কোমরে গোঁজা অবস্থায় একটি ম্যাগজিনে তিনটি গুলি লোড করা অবস্থায় পিস্তলটি জব্দ করে পুলিশ।
এ ছাড়া তার সহযোগী সোহেলের কাছ থেকে আরও তিনটি গুলি জব্দ করা হয়।
ফরিদপুর গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাকিবুল ইসলাম বলেন, ‘পুলিশ জানতে পারে সহিদুলের কাছে একটি অবৈধ অস্ত্র রয়েছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মোটরসাইকেলে যাওয়ার পথে ঈশান গোপালপুর ইউনিয়নের বাবুপাড়া এলাকায় সড়কের ওপর থেকে তার মোটরসাইকেলের গতি রোধ করা হয়। মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলেন সোহেল। পেছনে বসা ছিলেন সহিদুল। পরে সহিদুল ও সোহেলের দেহ তল্লাশি করে একটি পিস্তল, একটি ম্যাগজিন ও ছয়টি গুলি জব্দ করা হয়।’
তিনি বলেন, এ ব্যাপারে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় অস্ত্র আইনে একটি মামলা হবে।
ফরিদপুরের আলোচিত দুই হাজার কোটি টাকা পাচার মামলায় চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি আটক হয়েছিলেন চেয়ারম্যান সহিদুল। সিআইডির মূল অভিযোগপত্রে আসামি হিসেবে নাম না থাকায় তিনি জামিন পান।