ঘোষণা দিয়ে এক ঘণ্টা লোডশেডিংয়ের কথা বলা হলেও কথা রাখতে পারছে না বিদ্যুৎ বিভাগ। এক ঘণ্টার স্থলে তিন ঘণ্টা এমনকি পাঁচ ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎহীন থাকতে হচ্ছে গ্রাহককে। চলমান এই অবস্থাকে সাময়িক বলছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
কয়লাভিত্তিক রামপাল, আদানি এবং রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে উৎপাদন শুরু করার ওপর আস্থা রাখছেন তিনি। বলেছেন, ‘এই সমস্যা খুব বেশিদিন থাকবে না।’ কয়েক মাসের মধ্যে জাতীয় গ্রিডে চার হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যুক্ত হওয়ার কথাও জানিয়েছেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী ফেসবুকে তার ভেরিফায়েড পেজে শুক্রবার দেয়া এক পোস্টে এসব কথা বলেন।
জ্বালানি সংকট ও গ্যাসের দাম বৃদ্ধির কথা উল্লেখ করে সরকারের সাশ্রয়ী নীতির অংশ হিসেবে সূচি করে লোডশেডিং দেয়ার সিদ্ধান্ত হলেও তা ঠিকভাবে সমন্বয় করতে পারছে না বিদ্যুৎ বিভাগ। এর মধ্য দিয়ে প্রায় অর্ধযুগ পর পুনরায় লোডশেডিং শব্দের সঙ্গে নতুন করে পরিচিত হয়েছে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের মানুষ।
লোডশেডিং দেয়ার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমরা সব সময় বলে আসছি, বর্তমান সংকট সাময়িক সময়ের জন্য। এই সমস্যা খুব বেশি দিন থাকবে না। তবু বর্তমান বিদ্যুৎ সমস্যার জন্য সম্মানিত গ্রাহকদের কাছে আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি এবং সবার সহযোগিতাও কামনা করি।’
গ্রাহকদের আশ্বস্ত করে ফেসবুক পোস্টে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আগামী কয়েক মাসের মধ্যে পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিট ও রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু হয়ে যাবে এবং একই সঙ্গে ভারতের আদানী পাওয়ার প্ল্যান্ট থেকে ১৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি শুরু হলে ৪ হাজারের বেশি মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমাদের জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে।’
লোডশেডিং নিয়ে নতুন পরিকল্পনা হবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। বলেন, ‘সংকট সমাধানে আমরা সারা দেশে শিডিউলভিত্তিক লোডশেডিং দিতে বাধ্য হচ্ছি। তবে এক সপ্তাহ পর্যবেক্ষণ করে লোডশেডিংয়ের বিষয়ে নতুন পরিকল্পনা নেয়া হবে।’
পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে সবাইকে ধৈর্য ধরার অনুরোধ করেন নসরুল হামিদ। বলেন, ‘এই কঠিন সময়ে আপনাদের সবার সহযোগিতা আমাদের একান্ত কাম্য।’