বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পুলিশ কর্মকর্তা ও কনস্টেবলের মৃত্যুতে মামলা

  •    
  • ২২ জুলাই, ২০২২ ২২:২৩

দুটি ঘটনা ভিন্ন জায়গায় ঘটলেও এর মাঝে কোনো যোগসূত্র আছে কি না তদন্ত করছে পুলিশ।

মাগুরার শ্রীপুর উপজেলায় নানাবাড়িতে গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) খন্দকার লাবণীর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যর মামলা হয়েছে। এ ছাড়া নিজ অস্ত্রের গুলিতে কনস্টেবল মাহমুদুল হাসানের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায়ও একটি মামলা হয়েছে মাগুরা সদর থানায়।

শ্রীপুর থানার ওসি প্রিটন সরকার খন্দকার লাবণীর মৃত্যুর ঘটনায় মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ওসি জানান, পরিবারের পক্ষ থেকে এখন শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত কোনো অভিযোগ দেয়া হয়নি। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে আইনি পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।

এদিকে নিজ নামে বরাদ্দ অস্ত্রের গুলিতে কনস্টেবল মাহমুদুলের মৃত্যুর ঘটনায় একটি অপমৃত্য মামলা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে মাগুরা সদর থানা সূত্র। তবে মাহমুদুলের পরিবারের পক্ষ থেকে এখনও থানায় কোনো অভিযোগ করা হয়নি বলে জানা গেছে।

এর আগে পুলিশ কর্মকর্তা খন্দকার লাবণীর দাফন সম্পন্ন হয়েছে বৃহস্পতিবার রাত ৯টায়। শ্রীপুর সদর উপজেলার সারঙ্গদিয়া গ্রামে নানাবাড়িতে তার প্রথম জানাজা শেষে কাদিরপাড়া ইউনিয়নের বরালিদহ গ্রামে নিজ বাড়িতে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে রাত পৌনে ১১টার দিকে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

বুধবার দিবাগত রাতে সারঙ্গদিয়া নানাবাড়িতে একটি কক্ষে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে লাবণী আত্মহত্যা করেন বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়। ৬ ঘণ্টা পর মাগুরা সদর পুলিশ লাইনের একটি ব্যারাকের ছাদ থেকে মাহমুদুলের গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

দুটি ঘটনা ভিন্ন জায়গায় ঘটলেও এর মাঝে কোনো যোগসূত্র আছে কি না তদন্ত করছে পুলিশ।

মাগুরার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম ইতোপূর্বে নিউজবাংলাকে বলেছেন, ‘কনস্টেবল মাহমুদুল দেড় মাস আগে মাগুরায় বদলি হন। এর আগে তিনি খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি খন্দকার লাবণীর দেহরক্ষী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। দুটি ঘটনার কোনো যোগসূত্র আছে কি না, সেটি এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে এটুকু নিশ্চিত, দুজনই আত্মহত্যা করেছেন। দুজনের আত্মহত্যার কারণ জানতে পুলিশ তদন্ত করছে।’

উল্লেখ্য, খন্দকার লাবণীর স্বামী তারেক আবদুল্লাহ বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী পরিচালক (এডি) হিসেবে কর্মরত। তিনি ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে এখন ভারতে চিকিৎসাধীন বলে পারিবার থেকে জানানো হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর