ঠাকুরগাঁও শহরের রায়পুর ইউনিয়নে কিশোরীকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে ধর্ষণ ও গর্ভপাতের অভিযোগে মামলা করেছেন তার বাবা। আসামি করা হয়েছে কিশোরীর প্রেমিক সুয়েল রানাসহ ৯ জনকে। এর আগে গত ১ জুন ওই কিশোরীর গর্ভপাত করানো হয়।
জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালে বৃহস্পতিবার দুপুরে বিচারক গোলাম ফারুকের আদালতে এই মামলা করা হয় বলে শুক্রবার নিশ্চিত করেছেন বাদীর আইনজীবী মিজানুর রহমান।
তিনি জানান, মামলাটি থানা পুলিশ তদন্ত করবে।
মেয়েটির বাবা ও মামলার বাদী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বিয়ের আশ্বাস দিয়ে আমার মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক করে আসছিল সুয়েল রানা। আমার মেয়ের গর্ভে সন্তান এলে বিষয়টি জানাজানি হয়। গত ১ জুন গোপনে মুন্সিরহাটের এক ধাত্রীর কাছে আমার মেয়ের গর্ভপাত করায় ছেলের মা।
‘পরে আমার মেয়ে পেট ব্যথায় অসুস্থ হলে তাকে হাসপাতালেও ভর্তি করায় তারা। আমি জানতে পেরে থানায় মামলার প্রস্তুতি নিলে ছেলেপক্ষ আমার মেয়েকে পূত্রবধূ করে নিতে রাজি হয়।’
তিনি জানান, নাবালিকা হওয়ায় ঠাকুরগাঁও জেলা আদালতে একটি কম্পিউটারের দোকানে তার মেয়ের বয়স অ্যাফিডেভিট করে বাড়ানো হয়। এরপর হুমায়ুন কবির নামে এক ব্যক্তি মেয়ের সঙ্গে সুয়েলের বিয়ে পড়ান; বিয়ের কাবিননামায় স্বাক্ষর নেন শাহজাহান আলী নামে এক কাজি। এ দুজনকেও মামলার আসামি করা হয়েছে।
মেয়েটির বাবা বলেন, ‘তারাই বলেছে আমার মেয়ে বিবাহিত। অথচ পরে ছেলের বাড়িতে তুলে নেয়ার পর তারা নির্যাতন করে আমার মেয়েকে। গেল ঈদের সময় মেয়েকে আমার বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়ে তারা বিয়ে অস্বীকার করে। এখন কোনো উপায় না দেখে আদালতে গেছি।’