মানিকগঞ্জের সদরে ষষ্ঠ শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে।
সদর থানায় শুক্রবার সকালে মামলাটি করেন ‘ভুক্তভোগী’ মেয়ের মা।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রউফ সরকার মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আসামিরা হলেন মো. সিয়াম হোসেন, মো. আকাশ হোসেন, মো. রিয়াদ হোসেন, মো. রাজু মিয়া ও মো. ইয়াসিন হোসেন। তাদের সবার বাড়ি সদর উপজেলায়।
এজাহারে বলা হয়েছে, ১৬ জুলাই দুপুরে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে সিয়াম হোসেন ওই স্কুলছাত্রীর পথরোধ করলে তাদের মধ্যে তর্ক হয়। কিছুক্ষণ পর আকাশ এসে সিয়ামকে গালাগালি করে এবং কৌশলে মেয়েটিকে তার বাড়িতে নিয়ে যায়। পরে সিয়াম তার তিন বন্ধু রিয়াদ, রাজু ও ইয়াসিনকে নিয়ে আকাশের বাড়িতে যায়।
সেখানে সিয়াম মেয়েটিকে ধর্ষণ করে এবং এ ঘটনা কাউকে জানালে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে চলে যায় সিয়াম ও তার বন্ধুরা। পরে বাড়িতে ফিরে তার মাকে ঘটনাটি জানায় ভুক্তভোগী।
স্কুলছাত্রীর মা বলেন, ‘মেয়েকে ধর্ষণের ঘটনা স্থানীয় মাতব্বর মহিরউদ্দিনকে জানালে দুই দিন পর মামলার কথা বলে কোর্টে নিয়ে যান। সেখানে মেয়েসহ আমাকে দীর্ঘ সময় বসিয়ে রাখার পর হাসপাতালে ভর্তির কথা বলে সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে পালিয়ে যান তিনি। এরপর চিকিৎসা শেষে বুধবার বাড়িতে ফিরে পরিবার ও অন্যদের সঙ্গে আলোচনা করে শুক্রবার থানায় মামলা করি।’
এ বিষয়ে মাতব্বর মহিরউদ্দিন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি আইনগত পরামর্শের জন্য তাদের কোর্টে নিয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু সেখানে গিয়ে মেয়েটি অসুস্থবোধ করায় তাদের হাপাতালে নিয়ে যাই।’
হাসপাতাল থেকে পালিয়েছিলেন কি না জানতে চাইলে বলেন, ‘আমি পালাইনি। জরুরি কাজে তাদের হাসপাতালে রেখে বের হয়েছিলাম।’
ওসি আব্দুর রউফ বলেন, ‘আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। মাতব্বর মহিরউদ্দিনের সঙ্গে কথা বলা হবে। দোষী হলে তাকেও ছাড়া হবে না।’