কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় টেঁটাবিদ্ধ হয়ে এক যুবক নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
উপজেলার ধূলদিয়া ইউনিয়নের রায়খলা ও সতরদোন গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
নিহত ৩৫ বছর বয়সী এই যুবকের নাম মো. হুমায়ুন কবীর। তিনি রায়খলা গ্রামের বাসিন্দা সাবেক ইউপি সদস্য কামাল হোসেনের ছেলে।
কটিয়াদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম শাহাদাত হোসেন নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয়দের বরাতে তিনি জানান, বৃহস্পতিবার ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে এই দুই গ্রামের বাসিন্দাদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার জেরে শুক্রবার সকালে তাদের মধ্যে আবারও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে টেঁটার আঘাতে গুরুতর আহত হন হুমায়ুন। পরে কিশোরগঞ্জে সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথেই তার মৃত্যু হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলে ধূলদিয়া এলাকায় হাজী শামসউদ্দীন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সতরদোন গ্রামের ছেলেরা খেলতে আসে। এ সময় রায়খলা গ্রামেরও কয়েকজন খেলতে চাইলে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এ ঘটনার জেরে সন্ধ্যার দিকে দুই গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
পরে শুক্রবার সকালে দুই গ্রামের বাসিন্দারা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। এতে হুমায়ুন টেঁটা বিদ্ধ হয়। পরে ধূলদিয়া বাজারে বেশ কয়েকটি দোকানপাটেও হামলা হয়।
ওসি শাহাদাত হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘পুলিশ ৩০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জে জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’