নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে সাম্প্রদায়িক হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত ১৩টি মন্দির ও ১২ জন ব্যবসায়ীকে সরকারের পক্ষে আর্থিক অনুদান দেয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল থেকে বৃহস্পতিবার বিকেলে তাদের ৪১ লাখ ৫০ হাজার টাকার চেক প্রদান করা হয়েছে।
নোয়াখালী জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে চেক প্রদান করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য মামুনুর রশিদ কিরণ।
জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে এতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন চৌমুহনী পৌরসভার মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা খালেদ সাইফুল্যাহ, বেগমগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহনাজ বেগম, জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক পাপ্পু সাহা ও সাবেক ট্রাস্টি তপন মজুমদারসহ অনেকে।
পাপ্পু সাহা বলেন, ‘গত বছরের ১৫ অক্টোবর তাদের মন্দিরগুলোতে হামলায় যে ক্ষতি হয়েছে সে পরিমাণ সহায়তা না পেলেও ঘটনার পরপরই প্রধানমন্ত্রীসহ সবাই আমাদের পাশে দাঁড়িয়ে মনোবল-সাহস জুগিয়েছেন। আপনারদের জন্য আমরা ঘুরে দাঁড়াতে পেরেছি, সে জন্য কৃতজ্ঞ।
‘আগামীতেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত আরও শক্তিশালী করতে এবং উন্নয়নশীল রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশকে প্রতিষ্ঠিত করতে আমরা সব সময় তার পাশে থাকব।’
কুমিল্লায় গত বছর দুর্গাপূজা চলাকালে মণ্ডপ থেকে কোরআন শরিফ উদ্ধারের পর নোয়াখালীতে ছড়িয়ে পড়েছিল ব্যাপক সাম্প্রদায়িক সহিংসতা।
এর জেরে ২০২১ সালের ১৫ অক্টোবর জুমার নামাজ শেষে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী বাজারের বিভিন্ন মসজিদ থেকে কয়েক হাজার মুসল্লি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন।
একপর্যায়ে প্রধান সড়কের উত্তর পাশের শ্রীকৃষ্ণ মিষ্টান্ন ভান্ডার, রামকৃষ্ণ মিষ্টান্ন ভান্ডারসহ হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের দোকানে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়।
মিছিলকারীরা কলেজ রোডে ঢুকে আশপাশের দোকান এবং রামঠাকুর আশ্রম, রাধামাধব জিওর মন্দির, ইসকন মন্দিরসহ প্রায় ১২টি মন্দির ও মণ্ডপে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এর আগের দিনও হামলায় সেখানকার আরও একটি মন্দির ক্ষতিগ্রস্ত হয়।