বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

খাল দখল করে মাছ চাষের অভিযোগ

  •    
  • ২২ জুলাই, ২০২২ ১১:২৪

বাগেরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ মুছাব্বেরুল ইসলাম বলেন, ‘জয়গাছি খালটি দখল করে মাছ চাষ ও বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতার বিষয়ে ওই এলাকার বাসিন্দারা বিভিন্ন মাধ্যমে আমাকে জানিয়েছেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

বাগেরহাট সদর উপজেলায় এক স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে খাল দখল করে মাছ চাষ করার অভিযোগ উঠেছে।

উপজেলার বেমরতা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডে জয়গাছি গ্রামে জয়গাছি নামের খালটি দখলের ফলে জলাবদ্ধতার শিকার হয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন স্থানীয়রা।

স্থানীয়দের অভিযোগ, বেমরতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জুলফিকার আলী মল্লিকের নেতৃত্বে খালটি স্থানীয় আরও কয়েকজন প্রভাবশালী দখল করে রেখেছেন।

অবশ্য জলাবদ্ধতা নিরসনে মৃতপ্রায় খালটি উদ্ধারের দাবি জানিয়েছেন দখলদারও। এ পরিস্থিতিতে দ্রুত খালটি দখলমুক্ত করার আশ্বাস এসেছে বাগেরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে।

সরেজমিনে জয়গাছি গ্রামে দেখা যায়, দীর্ঘদিন দখল করে মাছ চাষ করায় এক সময়ের প্রবাহমান খালটি এখন মৃতপ্রায়।

খালটির বিভিন্ন স্থানে অন্তত ১০টি বাঁধ ও নেটপাটা দিয়ে রেখেছেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা। প্রভাবশালীদের মাছের ঘেরের পাশ দিয়ে খাল বয়ে যাওয়ায় যে যার মত করে খালটি দখল করে রেখেছেন। বর্তমানে কোনটি খাল ও কোনটি মাছের ঘের তার কোনো অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায় না।

জয়গাছি গ্রামের বাসিন্দা সালাম শেখ বলেন, ‘আমাদের এ খালটির সঙ্গে পাশের ভৈরব নদীর সংযোগ রয়েছে। বর্ষা মৌসুমে এই খালটি দিয়ে পানি নামত এক সময়। এ ছাড়া খালটির জোয়ারের সময়ের পানি দিয়ে স্থানীয় কৃষকরা তাদের কৃষিকাজ করত।’

একই গ্রামের বাসিন্দা এনামুল মোল্লা বলেন, ‘এলাকার জলাবদ্ধতা নিরশনে গুরুত্বপূর্ণ এ খালটি দখলে থাকার কারণে জলাবদ্ধতার শিকার হচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। জয়গাছি মাঠ সংলগ্ন প্রায় একশ পরিবারের ঘর-বাড়ি সামান্য বৃষ্টি হলেই তলিয়ে যাচ্ছে।

‘এমনকি যারা খাল দখল করে মাছ চাষ করছে, জলাবদ্ধতার শিকার হচ্ছে তারাও।’

কারা দখল করেছে এমন প্রশ্নে তিনি আরও বলেন, ‘বেমরতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জুলফিকার আলী মল্লিকের নেতৃত্বে খালটি দখল করা হয়েছে। দীর্ঘদিন দখলের কারণে পরিস্থিতি এখন এমন পর্যায়ে যে, খালটি দখলমুক্ত হওয়ার আশাও ছেড়ে দিয়েছে গ্রামবাসী।’

এ বিষয়ে বেমরতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জুলফিকার আলী মল্লিক বলেন, ‘জয়গাছি খালটি আমি বা আমার নেতৃত্বে দখল করা হয়েছে বিষয়টি এমন নয়। খালটির এক পাশ দিয়ে পুরাতন একটি রাস্তা রয়েছে, যার নিচ দিয়ে কোন কালভাট বা পানি সরার কোন ব্যবস্থা নাই। এ ছাড়া খালটির বিভিন্ন স্থানে বাঁধ ও নেটপাটা দিয়ে যে যার মত করে দখল করার কারণে আমি ইচ্ছা না থাকলেও দখলদার সেজে গেছি।’

জলাবদ্ধতার বিষয়ে তিনি আরও বলেন, ‘আমি নিজেও তো জলাবদ্ধতার শিকার হচ্ছি। সামান্য বৃষ্টি হলেই আমার বাড়িঘর সব পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। আমি নিজেও প্রশাসনের কাছে খালটি দখলমুক্ত করার দাবি জানাচ্ছি।’

বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী কুমার স্বস্তিক বলেন, ‘জয়গাছি খাল দখলের বিষয়টি খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে। দ্রুতই খালটি দখলমুক্ত করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

বাগেরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ মুছাব্বেরুল ইসলাম বলেন, ‘জয়গাছি খালটি দখল করে মাছ চাষ ও বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতার বিষয়ে ওই এলাকার বাসিন্দারা বিভিন্ন মাধ্যমে আমাকে জানিয়েছেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর