জ্বালানি খাতের দায়মুক্তি আইন বাতিল এবং ভুল নীতি ও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি দাবি জানিয়েছে তেল গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি।
বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ও সংকটের জন্য দায়ীদের শাস্তির দাবিতে বৃহস্পতিবার বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জাতীয় কমিটির সমাবেশে এই দাবি জানান নেতৃবৃন্দ।
জাতীয় কমিটির পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘দেশের গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনে যথাযথ ভূমিকা না নিয়ে, কমিশন এজেন্ট ও কতক ব্যবসায়ী গোষ্ঠীকে সুযোগ দিতে আমদানি নির্ভর জ্বালানি নীতির ফলে দেশের বিদ্যুৎখাত সংকটে পড়েছে। সরকারের ভুল নীতি ও দুর্নীতির দায় জনগণ নেবে না।’
এতে আরও বলা হয়, জনগণের টাকা খরচ করা হবে অথচ ওই টাকা প্রশ্ন করা, আইনি ব্যবস্থা না নেয়া যায়, সেজন্য দায়মুক্তি আইন করা হয়েছে।
জাতীয় কমিটির ঢাকা মহানগর আয়োজিত এই সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জাতীয় কমিটির অন্যতম সংগঠক অধ্যাপক এম এম আকাশ, অধ্যাপক আব্দুস সাত্তার, রুহিন হোসেন প্রিন্স, বজলুর রশীদ ফিরোজ, সাইফুল হকসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।তারা বলেন, দেশের স্থল ও সমুদ্রের গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। নবায়নযোগ্য জ্বালানিকে উপেক্ষা করা হয়েছে। গ্যাস চুরি, অপচয় বন্ধ করে সাশ্রয়ী ব্যবহার করতে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। অন্যদিকে বিদেশ থেকে এলএনজি আমদানিকে গুরুত্ব দিয়ে এলএনজি আমদানিনির্ভরতা অনিবার্য করে তোলা হয়েছে। তেলের ওপর নির্ভরতা বাড়ানো হয়েছে।শুধু তাই নয়, সংবিধানের মূল দৃষ্টিভঙ্গিকে উপেক্ষা করে বেসরকারি খাতের প্রাধান্যও বাড়ানো হয়েছে। এর ফলে কমিশনভোগী ও বিশেষ গোষ্ঠী লাভবান হয়েছে। রেন্টাল, কুইক রেন্টাল বন্ধ করা হয়নি।
বেশি দামে বিদ্যুৎ কেনা ও ক্যাপাসিটি চার্জের নামে প্রতিবছর জনগণের হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট হয়েছে ও হচ্ছে। আজ তার পরিণতিতে বিদ্যুৎ সংকট তীব্র হয়ে উঠেছে। সাধারণ মানুষকে দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। কৃষি শিল্প উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। এ পরিস্থিতি চলতে থাকলে দেশ আরও সংকটে পড়বে। এ দায় সরকারকেই নিতে হবে বলেন তারা।