ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার লস্করদিয়া ইউনিয়নের কুমার নদের খালের ওপর শশা সেতুর কাছে বারবার সংস্কার করা সড়কের একই জায়গা আবারও ধসে গেছে। সেখানে ৭০ মিটার রাস্তায় ঝুঁকি নিয়ে চলছে বাস, ট্রাকসহ যানবাহন।
স্থানীয়রা জানান, গত বছরের জুলাইয়ের ধসের পর এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে আবারও সেতুর পূর্ব অংশের একই জায়গা ধসে যায়। সে বছর মে মাসের শুরুতে ইটের সুড়কি ও মাটি দিয়ে সড়কের ওই অংশ সংস্কার করে সড়ক বিভাগ। তখন ৫০ মিটার অংশে সিমেন্টের ব্লক দিয়ে পাড় বাঁধা হয়। চলতি মাসের ১০ তারিখে আবারও সড়কের একই জায়গায় দৈর্ঘ্যে ৭০ মিটার ও প্রস্থে ৮ মিটার দেবে যায়। এখন যানবাহন চলাচলে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ছে।
১৮ মিটার প্রস্থের সেতুটির অবস্থান নগরকান্দার তালমা-জয় বাংলা আঞ্চলিক সড়কে। এটি ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের তালমার মোড় থেকে নগরকান্দা উপজেলা সদর হয়ে জয় বাংলার মোড়ে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে মিশেছে। এ সড়ক দিয়ে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলাসহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায় যাতায়াত করা যায়।
ওই পথ দিয়ে চলাচলকারী নগরকান্দার বাউতিপাড়া গ্রামের কলেজছাত্র জহির হোসেন বলেন, ‘রাস্তার এ অংশ নিয়ে ভোগান্তির শেষ নেই। গত বছর থেকে এ পর্যন্ত তিনবার ভেঙেছে। সংস্কারের কিছুদিন পর আবার একই অবস্থা হয়।’
নগরকান্দা উপজেলা সদরের বাসিন্দা মিজানুর রহমান বলেন, ‘ফরিদপুরসহ বিভিন্ন জায়গায় যাতায়াতের জন্য সড়কটি ব্যবহার করতে হয়। শশা এলাকায় সেতু পার হওয়ার সময় দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ছে। আমরা বিপদের মধ্যে রয়েছি।’
সরকারি নগরকান্দা কলেজের শিক্ষার্থী সুমাইয়া আক্তার বলেন, ‘এ রাস্তা দিয়ে বাসে করে কলেজে যাই। এখান দিয়ে একটার বেশি গাড়ি পার হতে পারে না। অনেক সময় এখানে যানজট লেগে যায়।’
বাসের চালক হামিদ মোল্লা বলেন, ‘সেতুর ওই স্থানে সড়ক সরু হওয়ায় গাড়ি চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। অনেক সময় অটোরিকশা পার হওয়ার জন্য বাস-ট্রাক দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। এতে সময় লাগে বেশি।’
শশা সেতুটি নগরকান্দা উপজেলার লস্করদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সীমানায়। ওই ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান বলেন, ‘শশা সেতুসংলগ্ন সড়ক সংস্কারের পরও ধসে যাচ্ছে। সড়ক বিভাগ সংস্কার করলেও তা স্থায়ী হয় না। এতে এলাকাবাসীর দুর্ভোগ যাচ্ছে না। এ সমস্যার স্থায়ী সমাধান জরুরি হয়ে পড়েছে।’
ফরিদপুর সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ইমরান ফারহান বলেন, ‘শশা সেতুর পাশে খাল খনন ও গত বছরের অতিবৃষ্টির কারণে এ সমস্যা হয়েছে। ওই রাস্তায় যে সংস্কারকাজ হয়েছিল, সেটি ছিল সাময়িক। এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে স্থায়ী সমাধানের উদ্যোগ নেয়া হবে।’