সরকারবিরোধী ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের লক্ষ্যে সাম্যবাদী দল (একাংশ) ও ডেমোক্রেটিক লীগের সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপি। বৃহস্পতিবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ওই বৈঠক হয়েছে।
বৈঠক শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, পারস্পরিক আলোচনায় তারা সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তুলতে একমত হয়েছেন।
বৈঠকে মির্জা ফখরুল ছাড়াও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন। সাম্যবাদী দলের (একাংশ) পক্ষে সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নুরুল ইসলাম ও ডেমোক্রেটিক লীগের পক্ষে সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন মনি বৈঠকে অংশ নেন।
সরকার বিরোধী বৃহত্তর রাজনৈতিক ঐক্য গড়ে তুলতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করছে বিএনপি। এর অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার ২০ দলীয় জোটের শরিক সাম্যবাদী দলের একাংশ ও বাংলাদেশ ডেমোক্রেটিক লীগের সঙ্গে বৈঠক করল দলটি।
বিএনপি এর আগে মাহমুদুর রহমান মান্নার নেতৃত্বাধীন নাগরিক ঐক্য, জোনায়েদ সাকির নেতৃত্বাধীন গণসংহতি আন্দোলন, কর্নেল (অব.) অলি আহমদের নেতৃত্বাধীন এলডিপি ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের (একাংশ) সঙ্গে বৈঠক করে। এসব রাজনৈতিক দলের অনেকেই বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে একমত হয়েছে।
বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘এই সরকারের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে যুগপৎ আন্দোলন গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে আমরা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করেছি। মাঝখানে কিছুদিন বন্ধ থাকার পর আবার আমরা শুরু করেছি। এর অংশ হিসেবে আজ আমরা সাম্যবাদী দল ও ডেমোক্রেটিক লীগ নেতাদের সঙ্গে সংলাপ করেছি।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বৈঠকে আমরা একমত হয়েছি যে খালেদা জিয়ার মুক্তি, তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনা, ৩৫ লাখের বেশি নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, সংসদ বিলুপ্ত করা, সরকারের পদত্যাগ এবং একটি নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে ঐক্য গড়ে তুলে আমরা আন্দোলন করব।’
ডেমোক্রেটিক লীগ সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন মনি বলেন, ‘আমরা বিএনপির সঙ্গে এক হয়ে আন্দোলন করব। গণতন্ত্র উদ্ধার করব। বিএনপির নেতৃত্বে আন্দোলন করে আমরা জনগণের দেশ জনগণকে ফিরিয়ে দেব।
‘আমরা মনে করি, দেশে সবচেয়ে বড় অন্যায় হয়েছে খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তার করা। খালেদা জিয়া এখন বিএনপি কিংবা দেশনেত্রী নন, নেলসন ম্যান্ডেলার মতো আন্তর্জাতিক পরিসরের নেত্রী।’
সাম্যবাদী দলের (একাংশ) ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নুরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা অগণতান্ত্রিক সরকারের সময়ে বাস করছি। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ঊর্ধ্বগতিতে মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। এই সরকারের ক্ষমতায় থাকার কোনো অধিকার নেই।
‘দেশের মানুষকে রক্ষার জন্য আমাদের একটি জাতীয় ঐক্য প্রয়োজন। আমরা বিএনপির নেতৃত্বে সেই ঐক্যের সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি।’