বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মেট্রোরেলের পিলারে পোস্টার, ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদের কষ্ট

  •    
  • ২১ জুলাই, ২০২২ ২২:১০

ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ লিখেছেন, ‘কয়েক বিলিয়ন ডলার খরচ করে আমরা মেট্রোরেল নির্মাণ করতে পারি, অথচ পিলারগুলোকে পোস্টারমুক্ত রাখার সামান্য উদ্যোগটি আমরা নিতে পারি না।’

মেট্রোরেলের কাজ এখনও শেষ হয়নি। ঢাকার যানজট থেকে মুক্তির স্বপ্ন নিয়ে বহুলপ্রতীক্ষিত মেট্রোরেল আগামী ১৬ ডিসেম্বর চালু হবে সরকার ঘোষণা দিয়েছে। প্রথমে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত চলবে ট্রেন।

কিন্তু এর মধ্যেই বিভিন্ন জায়গায় রেলের পিলারগুলোতে পোস্টার পড়তে শুরু করেছে। এই দৃশ্য দেখে খুবই কষ্ট পেয়েছেন প্রবীণ অর্থনীতিবিদ ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের অ্যাকাউন্ট থেকে বৃহস্পতিবার এক পোস্টে তিনি এই কষ্টের কথা তুলে ধরেছেন।

ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ লিখেছেন, ‘কয়েক বিলিয়ন ডলার খরচ করে আমরা মেট্রোরেল নির্মাণ করতে পারি, অথচ পিলারগুলোকে পোস্টারমুক্ত রাখার সামান্য উদ্যোগটি আমরা নিতে পারি না।’

১৯৯৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ ফেসবুকে বেশ সক্রিয়। প্রায়ই দেশের ও বিদেশের অর্থনীতিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে নানা ধরনের পোস্ট দেন তিনি।

মেট্রোরেলের পিলারে পোস্টার নিয়ে দেয়া তার পোস্টটি নিউজবাংলা টোয়েন্টিফোর ডটকমের পাঠকদের জন্য তা হুবহু তুলে ধরা হলো-

‘কয়েক বিলিয়ন ডলার খরচ করে আমরা মেট্রোরেল নির্মাণ করতে পারি, অথচ পিলারগুলোকে পোস্টারমুক্ত রাখার সামান্য উদ্যোগটি আমরা নিতে পারি না।

‘এমনিতেই মেট্রোরেলের যে বিস্তৃত বিশালাকার অবকাঠামো, তাকে নগরের সৌন্দর্য বৃদ্ধির সহায়ক বলা যায় না। তবুও গণপরিবহন ব্যবস্থার উন্নতির জন্য এই প্রকল্পের প্রয়োজন ছিল। কিন্তু বিনা খরচে যেটুকু দৃষ্টিনন্দন করা যায়, সে চেষ্টা তো থাকতে হবে। এখনও মেট্রোরেলের পিলারগুলোতে ছিটেফোঁটা দু-একটি পোস্টার শুধু দেখা যায়, কিন্তু শুরুতে প্রতিকার না করলে পরে এটা প্রকোপ আকার নেবে।

‘ঢাকার সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য তো অনেক ব্যয়বহুল প্রকল্প প্রায়ই গ্রহণ করা হয়, যদিও পরবর্তীতে সেগুলোর রক্ষণাবেক্ষণের দিকে আমাদের নজর কম থাকে। যাঁদের উদ্যোগে পোস্টার লাগানো হয়, তাঁদের নাম আর ছবি তো পোস্টারের গায়েই থাকে। এটা কিছুটা অভ্যাস-আচরণের ব্যাপারও। যাঁরা একটা নতুন পরিষ্কার পিলার বা দেয়ালে প্রথম পোস্টারটি অবৈধভাবে সেঁটে দেন, তাঁদের কি ন্যূনতম নাগরিক দায়িত্ববোধ বা রুচিশীলতা নেই!’

এ বিভাগের আরো খবর