তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দণ্ডিত আসামি হওয়ায় আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। আর সে কারণে বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিতে চাচ্ছে না, এমনকি দলটি নির্বাচনও চায় না।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর নিকুঞ্জ খেলার মাঠে আয়োজিত খিলক্ষেত থানা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাছান মাহমুদ এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের অন্যতম এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপি আসলে নির্বাচনকে ভয় পায়। ২০১৮ সালের নির্বাচনে বাম-ডান, অতিবাম-অতিডান সব দলের সঙ্গে ঐক্য করেও দলটি মাত্র পাঁচটি সংসদীয় আসন পেয়েছে।
‘২০১৪ ও ২০১৮ সালে নির্বাচনের ট্রেন কারো জন্য অপেক্ষা করেনি। এবারও করবে না।’
‘বিএনপিকে না-ভূতে পেয়ে বসেছে’ মন্তব্য করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপির সবকিছুতে না। নির্বাচন কমিশন বিএনপিকে সংলাপে ডেকেছিল, যায়নি। সংসদ নির্বাচনে না, পৌরসভা নির্বাচনে না, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে না, সংলাপে না- সবকিছুতেই না। নানা ধরনের ভূত আছে। বিএনপিকে পেয়ে বসেছে না-ভূতে, যে কারণে তাদের সবকিছুতে না।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘পদ্মা সেতু হওয়ায় বিএনপি এখন চোখে সর্ষে ফুল দেখছে। যখন মেট্রোরেল চালু হবে তখন তো দলটি পাগল হয়ে যাবে। আর এ বছরের মধ্যেই কর্ণফুলী টার্নেল উদ্বোধন হবে। তখন বিএনপির ঘুম হারাম হয়ে যাবে।
‘আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ থাকি আগামী নির্বাচনে ইনশাআল্লাহ ধস নামানো বিজয় হবে। কেউ ঠেকাতে পারবে না। সে কারণে বিএনপির মাথা খারাপ হয়ে গেছে।’
নেতাকর্মীদের অনুরোধ জানিয়ে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘আপনারা নেতৃত্বের পতাকাতলে ঐক্যবদ্ধ থাকবেন। যারা দুঃসময়ে দলের সঙ্গে ছিলো এবং দুঃসময়ে থাকবে, সেই পরীক্ষিত নেতাকর্মীদের হাতেই দলের পতাকা থাকবে।’
খিলক্ষেত থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি কেরামত আলী দেওয়ানের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ মো. বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি, সংসদ সদস্য হাবিব হাছানসহ উত্তর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য দেন।