বন্যায় ঝুঁকিপূর্ণ ও উপকূলীয় এলাকায় আরও ১ হাজার মুজিব কিল্লা ও ১ হাজার বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান।
বৃহস্পতিবার রাজধানীতে এক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এ কথা জানান। ‘উত্তর-পূর্বাঞ্চলে আকস্মিক বন্যা: শিক্ষণীয়, করণীয় ও পুনর্বাসন’ শিরোনামে এ বৈঠক হয়।
প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান বলেন, ‘সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বন্যার প্রকোপ এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ব্যাপক বেড়েছে। দুর্যোগ পরিস্থিতির উন্নতি এবং জানমালের ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনতে সরকার নানা পরিকল্পনা নিয়েছে। নদীর তলদেশ খননের মাধ্যমে গভীরতা বাড়াতে ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।
‘এবার বন্যায় সিলেট ও সুনামগঞ্জের প্রায় ৯০ শতাংশ জায়গা পানির নিচে ছিল। এত ভয়াবহ বন্যা ১২২ বছরের ইতিহাসে দেখা যায়নি। উদ্ধার কাজের জন্য আমাদের ৬০টি নৌকা প্রস্তুত ছিল, বন্যার পর আমরা আরও ৪০০টি নৌকা তৈরির উদ্যোগ নিয়েছি।’
বন্যার্তদের আশ্রয়ে ৫৫০ মুজিব কিল্লার প্রকল্প চলমান জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আরও ১ হাজার মুজিব কিল্লা ও ১ হাজার আশ্রয়কেন্দ্র বানানো হবে।’
বৈঠকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবি তাজুল ইসলাম বলেন, ‘সাধারণ মানুষকে দুর্যোগ মোকাবিলায় সম্পৃক্ত করতে হবে। তখন সাধারণ মানুষের কাজ হয়ে উঠবে অসাধারণ।
‘বন্যা পরিস্থিতিতে প্রত্যেকের নিজ নিজ অবস্থান থেকে দায়িত্ব পালন করতে হবে। দুর্যোগ মোকাবিলার ক্ষেত্রে স্থানীয়ভাবে প্রযুক্তিগত পরিবর্তন আনতে হবে। নিয়মের প্রয়োগ যদি আমরা ঠিকমতো করতে পারি তাহলেই এমন ভয়াবহ বন্যা মোকাবিলা সম্ভব।’