মেহেরপুরে মাদক পাচার ঠেকাতে যাওয়া পুুলিশ সদস্যকে হত্যার দায়ে চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে তাদের ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
একই ঘটনায় মাদকের মামলায় আরও সাত বছরের কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে তিন মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
মেহেরপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে দুপুর ১২টার দিকে এ রায় দেন অতিরিক্ত বিচারক রিপুতি কুমার বিশ্বাস। সে সময় আদালতে ছিলেন আসামিরা।
তারা হলেন কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার বালিদাপাড়া গ্রামের আনিস মণ্ডল, তাহাজুত হোসেন এবং দুই ভাই শাকিল হোসেন ও রুবেল হোসেন।
দুই মামলায় খালাস পেয়েছেন মো. সিদ্দিক ও মো. আতিয়ার।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) কাজী শহীদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
২০১৫ সালের ২৪ জুলাই গাংনী উপজেলার পীরতলা পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক (এসআই) সুবীর রায়ের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল বামন্দী-কাজীপুর এলাকায় টহল দিচ্ছিল। সে সময় খবর আসে ওই সড়ক দিয়ে মাইক্রোবাসে করে মাদক পাচার করা হবে।
টহল দলটি পীরতলা সাহেবনগর এলাকায় মাইক্রোবাসের পথরোধ করার জন্য রাস্তার ওপর কাঠের গুঁড়ি ফেলে রাখে। মাইক্রোবাসের চালক পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে গাছের গুঁড়ির পাশ কাটিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। সে সময় রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা পুলিশ কনস্টেবল আলাউদ্দিনকে ধাক্কা দেয় গাড়িটি। আলাউদ্দিন বাম্পারের ওপর পড়ে আটকে গেলে গাড়িচালক তাকে হিঁচড়ে ঘটনাস্থল থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে নিয়ে স্পিডব্রেকারের কাছে ফেলে পালিয়ে যায়।
পুলিশ সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠালে আলাউদ্দিনের মৃত্যু হয়। ঘটনাস্থল থেকে দুই বস্তায় ৩৪০ বোতল ফেনসিডিল জব্দ করা হয়।
পরে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার বালিদাপাড়া গ্রাম থেকে মাইক্রোবাসটিও জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে হত্যা ও মাদকের মামলা হলে একে একে গ্রেপ্তার হন আসামিরা।