রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী এলাকায় ৩২ বছর আগে দুর্বৃত্তের গুলিতে সগিরা মোর্শেদ সালাম নিহতের ঘটনায় করা মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ পিছিয়ে আগামী ৩১ জুলাই ঠিক করেছে আদালত।
মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ঠিক ছিল বৃহস্পতিবার। তবে আসামিপক্ষ এ মামলার সাক্ষী সাদিয়া চৌধুরীর দেয়া সাক্ষ্যগ্রহণের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করেন। এ জন্য আসামিপক্ষ সাক্ষ্যগ্রহণ পেছানোর জন্য আবেদন করেন।
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক রফিকুল ইসলাম সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ৩১ জুলাই দিন ঠিক করেন।
২০২০ সালের ২ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে চার্জ গঠনের আদেশ দেন।
গত ১৬ জানুয়ারি পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) পুলিশ পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম আদালতের জিআর শাখায় দীর্ঘ প্রতীক্ষিত এই মামলা তদন্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
৩২ বছর আগের আলোচিত এই মামলার আসামিরা হলেন- সগিরা মোর্শেদের ভাশুর ডা. হাসান আলী চৌধুরী, হাসান আলীর স্ত্রী সায়েদাতুল মাহমুদা ওরফে শাহিন, শ্যালক আনাছ মাহমুদ রেজওয়ান ও মারুফ রেজা।
এদের মধ্যে সায়েদাতুল মাহমুদা জামিনে আছেন। বাকি তিনজন কারাগারে।
গত ২ ডিসেম্বর আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে বিচার শুরুর আদেশ দেয়।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ১৯৮৯ সালের ২৫ জুলাই সগিরা মোর্শেদ বাসা থেকে বের হয়ে তার দ্বিতীয় শ্রেণি পড়ুয়া বড় মেয়ে সারাহাত সালমাকে আনতে স্কুলের দিকে যাচ্ছিলেন। স্কুলের সামনে পৌঁছানো মাত্রই দুষ্কৃতকারীরা তার হাতের বালা ধরে টান দেয়। বালা দিতে অস্বীকার করায় সগিরাকে গুলি করা হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত বলে জানান।
ওইদিনই রমনা থানায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন সগিরার স্বামী সালাম চৌধুরী। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী রিকশাচালক জড়িত দুইজনকে শনাক্ত করলেও অজ্ঞাত কারণে মিন্টু ওরফে মন্টু ওরফে মরণ নামে একজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় গোয়েন্দা পুলিশ।