বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জাতীয় নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের ইঙ্গিত সিইসির

  •    
  • ২১ জুলাই, ২০২২ ১৫:০৯

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘পেশিশক্তি যাতে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি এ জন্য সবার সহযোগিতা চাইব। নির্বাচন কমিশন একা করবে না। জেলা প্রশাসন, পুলিশ, বিজিবি, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এমনকি সেনাবাহিনীরও অংশগ্রহণ প্রয়োজন হতে পারে। আমরা সেই অর্থেও কাজ করব।’

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সঙ্গে সেনা সদস্যদের অংশগ্রহণেরও প্রয়োজন হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সামর্থ্য অনুযায়ী প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা বসানোর চেষ্টা করা হবে বলেও জানান তিনি।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির সঙ্গে সংলাপে বসে তিনি এমন ইঙ্গিত দেন।

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘পেশিশক্তি যাতে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি এ জন্য সবার সহযোগিতা চাইব। নির্বাচন কমিশন একা করবে না। জেলা প্রশাসন, পুলিশ, বিজিবি, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এমনকি সেনাবাহিনীরও অংশগ্রহণ প্রয়োজন হতে পারে। আমরা সেই অর্থেও কাজ করব।’

নির্বাচনসংক্রান্ত আইনে কমিশনকে বেশ খানিকটা ক্ষমতা দেয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা সেই ক্ষমতা প্রয়োগ করে যেন সম্ভাব্য সহিংসতা বা পেশিশক্তির প্রয়োগ কমাতে পারি।’

ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার নিয়ে সিইসি বলেন, ‘ইভিএম নিয়ে যে সংশয়, আস্থাহীনতা আছে তা নিয়ে অবহিত আছি। আমরা অন্ধভাবে ইভিএম নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিইনি। তবে এর যে কিছু ভালো দিক আছে, মন্দ দিক যা আছে সেটাকে আমরা উড়িয়ে দিচ্ছি না। সেই সম্ভাব্যটা কতটা বস্তুনিষ্ঠ তা পরীক্ষা করে দেখার চেষ্টা করছি।’

নির্বাচনে সব দলকে আহ্বান করছি জানিয়ে হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে। আমরা যে দায়িত্ব নিয়েছি আইন ও সংবিধানের অধীনে সেই দায়িত্ব অনুযায়ী আমাদের নির্বাচন করতে হবে। কোনো দল না এলে আমরা বাধ্য করতে পারব না। তবে বারবার আমরা আপনাদের অংশগ্রহণ প্রত্যাশা করছি।’

সিইসি আরো বলেন, ‘আপনাদের (দলগুলোর) প্রস্তাবগুলো যুক্তিযুক্ত। এ জন্য আপনাদেরও সবল ও সরব হতে হবে। আমরা আরও সবল হব। জাতীয় নির্বাচনটা কিন্তু হেলাফেলার জিনিস নয়। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠন হবে, রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ প্রশাসনিক সংগঠন ক্যাবিনেট গঠন হবে। কাজেই আমরা মনে করি নির্বাচনটা হেলাফেলা নয়, নির্বাচনটা জনপ্রতিনিধিত্বমূলক এবং জনগণের সমর্থন নিয়ে সরকার গঠন করা উচিত। এ জন্য একটি অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন প্রয়োজন, যেখানে ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারবে।’

সংলাপে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এম এ মুকিতের নেতৃত্বে দলটির ১৩ সদস্যের প্রতিনিধিদল, চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিবসহ সংস্থাটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

৩৯টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের মধ্যে এ পর্যন্ত ১৫টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ হওয়ার কথা ছিল। তবে বিএনপিসহ তাদের জোটভুক্ত দুটি দল ইসির সংলাপ প্রত্যাখ্যান করায় এ পর্যন্ত ১২টি দল ইসির ডাকে সাড়া দিয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর