লাখো নয়, কোটি জনতা বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেয়ার জন্য অপেক্ষা করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, ‘আগামী দিনে বাংলাদেশে যা ঘটবে তারপর পৃথিবীর মানুষ শ্রীলঙ্কার কথা ভুলে যাবে।’
বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এমন মন্তব্য করেন।
দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতার কটূক্তির প্রতিবাদে ওই সভার আয়োজন করা হয়।
বিএনপি নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে দলের স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘সরকার বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানির দাম বাড়িয়েছে। এর প্রতিবাদ যাতে না করে এ জন্য আওয়ামী লীগ বিএনপি নেতারা গালি দেয়। এ জন্য খালেদা জিয়া, তারেক রহমানসহ বিএনপির সব নেতাকে তারা গালি দেবে। কিন্তু আমাদের সেদিকে কান দিলে হবে না।’
আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ করে গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, ‘ওরা কথা বলা তো দূরের কথা, ওদের পাশে কেউ থাকবে না যখন ওরা ক্ষমতায় থাকবে না। তবে এই কাজটা কিন্তু স্বেচ্ছাসেবক দল, যুবদল, বিএনপি করবে না। লাখো জনতা নয়, কোটি জনতা অপেক্ষা করছে প্রতিশোধ নেয়ার জন্য। এ কথা মিথ্যা না।’
আওয়ামী লীগ নেতাদের ক্ষমতার বাঘ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ওরা ক্ষমতার বাঘ। আর ক্ষমতা না থাকলে বিড়ালের চেয়েও অধম।’
দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, ‘যে শক্তির জোরে আওয়ামী লীগ নেতারা কথা বলেন, সেটা হলো অবৈধ ক্ষমতা।’
‘শ্রীলঙ্কায় গোতাবায়া রাজাপাকসে একাই দেশ ত্যাগ করেছে। আমাদের এখানে শেখ হাসিনা একাই দেশ ত্যাগ করবেন না। তাদের (আওয়ামী লীগের) নেতারা সবাই দেশত্যাগ করবে।’
তিনি বলেন, ‘শ্রীলঙ্কার ঘটনা বাংলাদেশে ঘটবে এটা বলছি না। বাংলাদেশে যা ঘটবে তখন পৃথিবীর মানুষ উদাহরণ টেনে বলবে যে, বাংলাদেশের মতো ঘটনা ঘটবে। শ্রীলঙ্কার ঘটনা সবাই ভুলে যাবে। কারণ অনেক মিথ্যা প্রতিশ্রুতি এই সরকার দিয়েছে। এ দেশকে সিঙ্গাপুর বানাবেন। এখন বাংলাদেশ আজিমপুরের কাছাকাছি।'
নির্বাচন কমিশন নিয়ে বিএনপি নেতা বলেন, নির্বাচন কমিশন নিয়ে আমরা কেন কথা বলি! আমরা তো নির্বাচনে যাব না। নির্বাচন কমিশন যা কিছু বলে বলুক। তবে একটা কথার উত্তর দিতে হয়। নির্বাচন কমিশন বলেছে, ভোটের দিন যদি কেউ তলোয়ার নিয়ে আসে, তাহলে প্রতিপক্ষ পাল্টা রাইফেল নিয়ে নামবে।
‘আমরা যদি তলোয়ার আর রাইফেলই হাতে নিই, তাহলে নির্বাচনের দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করব কেন। তার আগে আপনাদের বিদায় করব।’
নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে গয়েশ্বর বলেন, ‘সাংবিধানিক পদে থেকে সন্ত্রাসকে উসকানি দিচ্ছেন তারা। জনগণের মধ্যে আতঙ্ক ছড়াচ্ছেন।’
প্রচারযন্ত্র শেখ হাসিনার পক্ষে কথা বলে দাবি করেন তিনি। বলেন, ‘প্রচারযন্ত্র ইচ্ছা করেও বলে, আবার চাপে পড়েও বলে। পারলে পরে তাকে দেবী বানায় । মানুষের পর্যায়ে রাখে না।’
সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম, বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনসহ স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতারা।