বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এবার এমপির অনুসারীদের সড়ক অবরোধে ভোগান্তি

  •    
  • ২১ জুলাই, ২০২২ ১৩:২০

উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘প্রকৃত ঘটনাকে আড়ালের অপচেষ্টা হিসেবে বিক্ষোভ করেছে। যে ঘটনা ২৫-৩০ জন নেতার সামনে ঘটেছে তা আড়াল করা যাবে না।’

কুমিল্লা-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) ও দেবীদ্বার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের মধ্যে মারামারির ঘটনায় এবার এমপি পক্ষের লোকজন সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন।

কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কে বৃহস্পতিবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে বিক্ষোভ শুরু করেন তারা। এতে যান চলাচল বন্ধ হয় গেলে ভোগান্তিতে পড়েন এই পথে চলাচলকারীরা। দুপুর ১২টার দিকে বিক্ষোভকারীরা সরে গেলে যান চলাচল শুরু হয়।

কুমিল্লার দেবীদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কমল কৃষ্ণ ধর বলেন, ‘বেলা সোয়া ১১টা থেকে নেতা-কর্মীরা কুমিল্লা সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের দেবীদ্বার নিউ মার্কেট ও স্বাধীনতা চত্বরে জড়ো হয়। পরে প্রায় ৪০ মিনিট ধরে তারা বিক্ষোভ করেন। এই সময়ে সড়কে যানবাহনের গতি ধীর হয়ে যায়। পুলিশ সদস্যদের প্রচেষ্টায় এখন সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে।’

জাতীয় সংসদ ভবনের এলইডি হলে শনিবার উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটি গঠন নিয়ে সভায় কুমিল্লা-৪ আসনের সরকারদলীয় এমপি রাজি মোহাম্মদ ফখরুল ও দেবীদ্বার উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেন চেয়ারম্যানের কর্মী-সমর্থকরা। চান্দিনা উপজেলার মাধাইয়া এলাকায় এ সময় মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। ভোগান্তিতে পড়েন এ পথে চলাচলকারীরা, যা নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান তারা।

রাজি মোহাম্মদ ফখরুল এমপি (বাঁয়ে) ও আবুল কালাম আজাদ। ছবি: সংগৃহীত

যাত্রী ভোগান্তি নিয়ে বিভিন্ন মহলে সমালোচনার মধ্যে বৃহস্পতিবার সড়ক অবরোধ করলেন এমপি পক্ষের লোকজন। এ সময় ঝাঁড়ু হাতে বিক্ষোভ করতে থাকে তারা। এই কর্মসূচিতে অংশ নেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি হাজি আবুল কাশেম ওমানী।

তিনি বলেন, ‘আবুল কালাম আজাদ একজন অনুপ্রবেশকারী। তিনি কীভাবে একজন সংসদ সদস্যের ওপর হামলা করতে পারেন। আমরা তার শাস্তি চাই।’

বিক্ষোভ কর্মসূচিতে দেবীদ্বার জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শিরিন সুলতানা, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বাবুল হোসেন রাজু, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি আবদুল মান্নান মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য সাইফুল ইসলাম শামিম, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোক্তল হোসেন, পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মশিউর রহমান সুমন, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক ইকবাল হোসেন রুবেল, উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আবু কাউছার অনিকসহ অংশ নেন আরও অনেকে।

এই বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘প্রকৃত ঘটনাকে আড়ালের অপচেষ্টা হিসেবে বিক্ষোভ করেছে। যে ঘটনা ২৫-৩০ জন নেতার সামনে ঘটেছে তা আড়াল করা যাবে না। আমার দৃঢ় বিশ্বাস বঙ্গবন্ধুকন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিসিটিভি ফুটেজ দেখে নিশ্চয়ই সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবেন।’

এ বিভাগের আরো খবর