নেত্রকোণার দুর্গাপুরে বালু-ব্যবসার ঘর থেকে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি বৃহস্পতিবার সকালে নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।এর আগে উপজেলার বিরিশিরি ইউনিয়নের তেলুঞ্জিয়া গ্রামের শিমুলতলি এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
দুর্গাপুর সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মাহমুদা শারমিন নেলী নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, প্রাথমিক অনুসন্ধানে মনে হচ্ছে, এটি হত্যাকাণ্ড।
মৃত গৃহবধূর নাম সেলিনা খাতুন। ৩৭ বছর বয়সী সেলিনা ওই উপজেলার কুল্লাগড়া ইউনিয়নের কাকড়াকান্দা গ্রামের এমদাদুল হকের স্ত্রী। তিনি দুর্গাপুর পৌরসভার শিবগঞ্জ এলাকায় ভাড়া থাকতেন।
স্থানীয়দের বরাতে এএসপি মাহমুদা শারমিন নেলী জানান, সেলিনা খাতুন নামের ওই নারী গেল সোমবার বিকেলে বাবার বাড়িতে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। এর পর থেকে তার কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। বুধবার সন্ধ্যায় তেলুঞ্জিয়া গ্রামের শিমুলতলি এলাকার বালু শ্রমিকরা বালু-ব্যবসার একটি ঘর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করতে গিয়ে চৌকির ওপর তার মরদেহ দেখতে পান। পরে পুলিশ তা উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
দুর্গাপুর থানার ওসি শিব্বিরুল ইসলাম জানান, আব্দুল করিম, আতাউর রহমান, বাবুল মিয়া ও সারোয়ার জাহান নামের চার ব্যবসায়ী ওই ঘর থেকে বালু-ব্যবসা পরিচালনা করেন। ঈদ উপলক্ষে তাদের ঘরটি গত কয়েক দিন বন্ধ ছিল। বৃহস্পতিবার থেকে পুনরায় ব্যবসা চালু করতে বুধবার সন্ধ্যায় শ্রমিকরা ঘরটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করতে যান।
এএসপি মাহমুদা শারমিন নেলী বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে এটি হত্যাকাণ্ড বলে মনে হচ্ছে। পিবিআই ও সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য আমরা কাজ করছি।’
দুর্গাপুর থানার ডিউটি অফিসার এএসআই শফিকুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় বুধবার রাতে সেলিনা খাতুনের মা খোদেজা খাতুন বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেছেন। তবে মামলায় সুনির্দিষ্টভাবে কাউকে আসামি করা হয়নি।