মাগুরার শ্রীপুর উপজেলা থেকে খুলনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) খন্দকার লাবণীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
উপজেলার সারঙ্গদিয়া গ্রামে নানার বাড়ি থেকে বুধবার রাত ১টার দিকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরুল হাসান। তিনি জানান, নানার বাড়ি থেকে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় লাবণী ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তার ‘মৃত্যুর’ কারণ এখনও জানা যায়নি।
কামরুল আরও জানান, লাবণীর মরদেহ শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আছে। ময়নাতদন্তের জন্য সেটি মাগুরা সদর হাসপাতালে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
খন্দকার লাবণী খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগে এএসপি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার নানার বাড়ি শ্রীপুরের বরালিদাহ গ্রামে। দুই দিন আগে তিনি ছুটিতে মাগুরা আসেন। বিসিএস ৩০ তম ব্যাচের কর্মকর্তা ছিলেন লাবণী।
ওই পুলিশ কর্মকর্তার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল আজম স্থানীয় নাকোল রাইচন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক।
লাবণীর স্বামী বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী-পরিচালক তারেক রহমান চিকিৎসার জন্য ভারতে আছেন।
এ দিকে মাগুরায় ছাদ থেকে এক পুলিশ কনস্টেবলের গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশ লাইনসের ব্যারাকের ছাদ থেকে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে তার উদ্ধার করা হয়। ২৩ বছর বয়সী কনস্টেবল মাহমুদুল হাসান দেড় মাস আগে খুলনা থেকে মাগুরায় বদলি হয়ে এসেছেন। সেখানে তিনি নিহত পুলিশ কর্মকর্তা খন্দকার লাবণীর দেহরক্ষী ছিলেন।
দুজনের মৃত্যুর ঘটনায় কোনো যোগসূত্র আছে কিনা সেটি নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরুল হাসান।