বরিশালের বাকেরগঞ্জে শ্যালিকার বিয়ে ছিল। বিয়ে শেষে স্ত্রী ও একমাত্র শিশুসন্তানকে নিয়ে আগৈলঝাড়ায় নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন রাজমিস্ত্রি ফয়সাল হোসেন। পথে এক দুর্ঘটনা বদলে দিয়েছে তার জীবন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ফয়সাল জানেন না, চিরতরে হারিয়েছেন স্ত্রী ও মেয়েকে।
আগৈলঝাড়ার বাগধা ইউনিয়নের জয়রামপট্টি এলাকার ফয়সাল এখন বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ফয়সালের বাবা ইকবাল হোসেন বলেন, ‘আমার ছেলে ফয়সাল শ্যালিকার বিয়ের জন্য আজ সকালে (বুধবার) বাকেরগঞ্জে যায়। আগের দিন ফয়সালের স্ত্রী ও আড়াই বছরের মেয়ে সেখানে যায়।
‘দুপুরে আমরা দুর্ঘটনার খবর পেয়ে হাসপাতালে গিয়ে আমার নাতনি ও পুত্রবধূর লাশ দেখতে পাই। আমার ছেলের অবস্থাও খুব খারাপ। সিটিস্ক্যান করিয়েছি। কী হয়, কিছু বুঝতে পারছি না। ফয়সাল যদি জানতে পারে তার স্ত্রী ও মেয়ে মারা গেছে তাহলে ফয়সালও বাঁচবে না।’
ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়কের বাকেরগঞ্জে বুধবার দুপুরে বিআরটিসি বাসের চাপায় ইজিবাইকের চালক-যাত্রীসহ ৬ জন নিহত হন। ওই ইজিবাইকেই ছিলেন ফয়সাল, সাথী ও তাদের শিশুকন্যা ফারহানা। সাথী ও ফারহানার মৃত্যু হয় হাসপাতালে। ফয়সাল এখন চিকিৎসাধীন।
বরিশালের জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দিন হায়দার জানান, নিহতদের দাফনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আহত ফয়সালের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এছাড়া দুর্ঘটনা তদন্তে ৩ সদস্যর কমিটি করা হয়েছে।