পানি ভবন, পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সংস্থাগুলোতে ৫০ ভাগ বিদ্যুতের ব্যবহার কমানোর লক্ষ্য ঠিক করেছে মন্ত্রণালয়। এজন্য পানি ভবনে দুই ঘণ্টা অন্তর সেন্ট্রাল এসি চালু থাকবে এক ঘণ্টা। সেইসঙ্গে ব্যক্তিগত কাজে কর্মকর্তাদের অফিসের গাড়ি ব্যবহার না করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
রাজধানীর পানি ভবনে এক সভায় এসব নির্দেশ দেন পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার।
মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর প্রতি ১৯ দফা নির্দেশনাও জারি করেছে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়।
বুধবার পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সেন্ট্রাল এসির থার্মোস্ট্যাটযুক্ত অংশের তাপমাত্রা ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস নির্ধারণ করে থার্মোস্ট্যাট লক করা হয়েছে বিধায় তাপমাত্রা এর নিচে নামানো সম্ভব নয়। দুই ঘণ্টা অন্তর এক ঘণ্টা সেন্ট্রাল এসি চালু থাকবে। সেন্ট্রাল এসির নিয়ন্ত্রণযোগ্য অংশের তাপমাত্রা ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামানো যাবে না।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং করোনাভাইরাসের প্রভাবে বিশ্ববাজারে মূল্যবৃদ্ধির কারণে জ্বালানি আমদানি কমিয়েছে সরকার। এ জন্য কমেছে বিদ্যুৎ উৎপাদনও। এ অবস্থা মোকাবিলায় সারা দেশে মঙ্গলবার থেকে এলাকাভেদে এক থেকে দুই ঘণ্টা লোডশেডিং দেয়া হচ্ছে। পাশাপাশি বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ে রাত ৮টার পরে দোকান, শপিংমল, মার্কেট, বিপণিবিতান, কাঁচাবাজার বন্ধ রাখারও নির্দেশ দেয়া হয় সোমবার।
এরই ধারাবাহিকতায় পানি ভবনের নির্দেশনা এলো।
নির্দেশনার মধ্যে আরও রয়েছে, পানি ভবনের সবগুলো করিডরের লাইট বন্ধ থাকবে, কক্ষসমূহের ডেস্কের ওপরে অবস্থিত লাইট ব্যতীত অন্য সব লাইট বন্ধ থাকবে, কক্ষ ত্যাগের সময় লাইট এবং এসি বন্ধ থাকবে, পানি ভবনের অভ্যন্তরস্থ সব গ্লাসডোর বন্ধ থাকবে, আলো প্রবেশের সুবিধার্থে গ্লাসডোরে লাগানো ফ্রস্টেড পেপার খুলে স্বচ্ছ করতে হবে ও পানি ভবন ক্যাম্পাসের গার্ডেন লাইটসমূহ বন্ধ থাকবে।
এতে আরও বলা হয়েছে, পানি ভবনে তিনটি লিফট ছাড়া সব লিফট বন্ধ থাকবে, আলো প্রবেশের সুবিধার্থে কক্ষসমূহের জানালার স্ক্রিন সরিয়ে রাখতে হবে, ইলেকট্রিক কেটলি, ওভেন ব্যবহার সম্পূর্ণভাবে বন্ধ থাকবে, দিনের বেলায় সূর্যের আলোর সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে, সকাল ৯টায় অফিসের কার্যক্রম শুরু করে বিকেল ৫টার মধ্যেই অফিস ত্যাগ করতে হবে, ব্যক্তিগত কাজে অফিসের গাড়ি ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে, জ্বালানি সাশ্রয়ের লক্ষ্যে একই গাড়িতে একাধিক কর্মকর্তার অফিস যাতায়াত উৎসাহিত করা হয়েছে।
এ ছাড়া নির্দেশের মধ্যে রয়েছে কর্মকর্তাদের সাইট পরিদর্শনে একা গাড়ি ব্যবহার কমাতে হবে, প্রশিক্ষণ কোর্স সংখ্যা কমাতে হবে, মিটিংসমূহ যথাসম্ভব অনলাইনে করতে হবে।
পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সব ভবনে এই সিদ্ধান্তসমূহ কার্যকর থাকবে বলে জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।