নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে অনড় থাকা বিএনপি নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ডাকে সাড়া না দেয়ায় সংলাপ ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি বলে মনে করেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর৷ এ জন্য নির্বাচনের আগ পর্যন্ত তারা অপেক্ষা করবেন বলে জানান তিনি।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে বুধবার নিউজবাংলাকে এসব কথা বলেন ইসি আলমগীর।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘না, বিএনপির অনুপস্থিতিতে সংলাপ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে আমরা মনে করি না। তবে তারা আসলে আরও ভালো হতো। নির্বাচনের এখন অনেক দেরি, ওনারা পরে আসবেন বলে আমরা আশা করি।
‘সংলাপে রাজনৈতিক দলগুলো আমাদের সুচিন্তিত মতামত দিয়েছে। এগুলো আমাদের সমৃদ্ধ করেছে। অবশ্যই ভালো নির্বাচন করার জন্য এসব মতামত সহায়তা করবে। যারা আসেননি, তারা যদি আসতেন তাহলে আরও ভালো হতো। এ জন্য আমাদের আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে।’
দ্বাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচন এখনো দেরি আছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আগামী বছরের শেষে অথবা তার পরের মাসে নির্বাচন হবে। আমরা মনে করি এখনো যথেষ্ট সময় আছে।’
বিএনপিকে সংলাপে আনতে উদ্যোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা তো বারবারই উদ্যোগ নিচ্ছি। ইভিএম নিয়ে মতবিনিময় সভায় ওনাদের সাথে যোগাযোগ করেছি, ওনারা আসেন নাই। এখন যে সংলাপ, সেটার জন্যও আমরা যোগাযোগ করেছি, ওনারা আসেন নাই। সামনেও যোগাযোগ অব্যাহত থাকবে। নির্বাচনের আগ পর্যন্ত আমরা অপেক্ষা করব।’
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কর্মপদ্ধতি ঠিক করতে গত ১৭ জুলাই থেকে এ মাসের শেষ পর্যন্ত নিবন্ধিত ৩৯ রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের সময় নির্ধারণ করেছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান ইসি।
সংলাপের চতুর্থ দিনে বুধবার তিনটি দলের সঙ্গে ইসির সংলাপ হওয়ার কথা থাকলেও বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি তাদের সময় পরিবর্তন করেছে। পাশাপাশি বিএনপি সংলাপ বর্জন করায় মাত্র একটি দলের সঙ্গে সংলাপে বসেছে ইসি। ইসি ৪ দিনে ১৪টি দলকে আমন্ত্রণ জানালেও সাড়া দিয়েছে ১১টি রাজনৈতিক দল। বিএনপিসহ ২০ দলীয় জোটভুক্ত বাংলাদেশ মুসলিম লীগ এবং কল্যাণ পার্টি ইসির ডাকা সংলাপ বর্জন করেছে।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এই ইলেকশন কমিশনের ডাকে সাড়া দেয়ার প্রশ্নই ওঠে না। কারণ তাদের সুষ্ঠু নির্বাচন করার ক্ষমতা নেই।’
সমাধান কোন পথে খুঁজছেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই রাজনৈতিক মাঠে। আন্দোলনের মাধ্যমেই সমাধান হবে।’