বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে বৈশ্বিক সহযোগিতার আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর

  •    
  • ২০ জুলাই, ২০২২ ১৭:২৮

কোভিড-১৯ গ্লোবাল অ্যাকশন প্ল্যানের (জিএপি) পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে করোনা টিকাকে ‘বৈশ্বিক জনপণ্য’ ঘোষণা দিয়ে সহজলভ্য করা ও বাংলাদেশের মতো সক্ষম দেশগুলোতে টিকা তৈরিতে প্রযুক্তি হস্তান্তরসহ চারটি প্রস্তাব দিয়েছেন আব্দুল মোমেন।

করোনাভাইরাস মহামারি নিয়ন্ত্রণের মধ্য দিয়ে বিশ্বের বিপর্যস্ত অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে বৈশ্বিক সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।

করোনা প্রতিরোধে টিকাকে ‘বৈশ্বিক জনপণ্য’ ঘোষণা দিয়ে সহজলভ্য করা ও বাংলাদেশের মতো সক্ষম দেশগুলোতে টিকা তৈরিতে প্রযুক্তি হস্তান্তরসহ চারটি প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার রাতে ভার্চুয়ালি কোভিড-১৯ গ্লোবাল অ্যাকশন প্ল্যানের (জিএপি) পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে অংশ নিয়ে তিনি এই আহ্বান জানান।

সভাটিতে যৌথভাবে সভাপতিত্ব করেন জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হায়াশি ইয়োশিমাসা এবং যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি জে ব্লিঙ্কেন।

আব্দুল মোমেন বলেন, ‘কোভিড মহামারি মোকাবিলার মূলে রয়েছে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার। যখন উন্নয়নশীল দেশগুলোতে উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ প্রয়োজন, ঠিক সে সময় কোভিড-তাড়িত অর্থনৈতিক অস্থিরতার ভীতিতে বিনিয়োগকারীরা এসব দেশ থেকে তাদের তহবিল সরিয়ে নিচ্ছেন। এর ফলে উন্নয়নশীল অর্থনীতিগুলোতে তহবিল ঘাটতি সৃষ্টি হচ্ছে।’

এসব দেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে উন্নত দেশ ও বৈশ্বিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্বাস্থ্য সেবাসহ অর্থনীতির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ খাতে রেয়াতি ঋণের প্রবাহ বাড়ানোর আহ্বান জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

স্বল্প-কার্বনভিত্তিক উন্নয়নে অর্থায়ন বাড়ানো এবং সবুজ প্রযুক্তি হস্তান্তরের ওপর জোর দেন তিনি।

অতিমারী মোকাবিলায় কয়েকটি বৈশ্বিক কার্যক্রমের ওপর জোর দেন মন্ত্রী। এগুলোর মধ্যে রয়েছে- কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনকে ‘বৈশ্বিক জনপণ্য’ হিসেবে ঘোষণা করার মাধ্যমে টিকা সুলভ ও সহজলভ্য করা; বাংলাদেশের মতো তুলনামূলকভাবে উন্নত ফার্মাসিউটিক্যাল ম্যানুফ্যাকচারিং দেশগুলোকে মেধাস্বত্ব অধিকার (আইপিআর) ও প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমে ভ্যাকসিন, টেস্টিং সামগ্রী এবং প্রতিষেধক তৈরিতে সহায়তা করা; বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও উন্নত দেশগুলোর সহায়তায় কোভিডের নতুন ভ্যারিয়েন্টগুলো মোকাবিলায় জাতীয় রোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থাগুলোর সার্বিক সক্ষমতা বাড়ানোর ব্যবস্থা নেয়া; এবং বৈশ্বিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা কাঠামোকে চলমান ও ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার উপযোগী করতে নকশা প্রণয়নে লৈঙ্গিক ও ভৌগোলিক ভারসাম্যের ভিত্তিতে বিশ্বনেতাদের সমন্বয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের প্যানেল গঠন করা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কোভিড ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশের সাফল্যের কথাও নিজের বক্তব্যে তুলে ধরেন মন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘এই সাফল্যের মূলে রয়েছে জীবন রক্ষার পাশাপাশি জীবিকার সংস্থান অব্যাহত রাখা, অতি ঝুঁকিপূর্ণদের জন্য বিশেষ সহায়তার ব্যবস্থা করা এবং লাগসই প্রণোদনার মাধ্যমে অতিমারীর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতি দ্রুত পুনরুদ্ধার নিশ্চিত করা।’

২৩ বিলিয়ন ডলার সমমূল্যের আর্থিক প্রণোদনা প্যাকেজ অর্থনীতিকে দ্রুত পুনরুদ্ধারে সহায়তা করেছে বলেও বিশ্বাস করেন মন্ত্রী। এতে ২০২০-২১ অর্থবছরে ৬ দশমিক ৯৪ শতাংশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব হয়েছে বলেও মনে করেন মোমেন।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ নির্ধারিত সময়সীমার আগেই মোট জনসংখ্যার ৭০ শতাংশকে টিকা দেয়ার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করেছে। মৃত্যুর হার বৈশ্বিক গড়ের চেয়ে নিচে রয়েছে।’

২০২২ সালের মে মাসে নিক্কেই কোভিড-১৯ পুনরুদ্ধার সূচকে ১২১টি দেশের মধ্যে পঞ্চম এবং দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম স্থান অর্জন কোভিড ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশের অসামান্য সাফল্যের প্রতিফলন বলেও জানান তিনি।

ড. মোমেন বলেন, ‘কোভিড-১৯ মোকাবেলায় কোভ্যাক্স ব্যবস্থার সাফল্যই প্রমাণ করে বৈশ্বিক সংকট মোকাবিলায় বহুপাক্ষিক ব্যবস্থা কতটা কার্যকর।’

জাপান ও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর যৌথ পরিকল্পনায় আয়োজিত এই সভার লক্ষ্য হচ্ছে কোভিড-১৯ মোকাবেলায় রাজনৈতিক সদিচ্ছা জোরদারে বিশ্বব্যাপী অংশীদারদের একত্রিত করা।

সভায় জাপান ও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবয ডাব্লিউএইচওর মহাপরিচালক স্বাগত বক্তব্য দেন। এরপর বিশ্বের ১৪টি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট এবং বেশ কয়েকটি দেশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা বক্তব্য দেন।

এ বিভাগের আরো খবর