বর্তমান আবহাওয়ায় ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ অনেক বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম।
বুধবার দুপুরে রাজধানীতে ডিএনসিসির ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের আওতাধীন খিলবাড়িরটেক এলাকায় ডেঙ্গুবিরোধী সচেতনতামূলক প্রচার অভিযানে তিনি এ কথা জানান।
মেয়র আতিকুল বলেন, ‘বর্তমানে চলমান আবহাওয়ায় ডেঙ্গুর প্রকোপ অনেক বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আমরা দেখতে পাচ্ছি প্রায়ই বৃষ্টি হচ্ছে এবং পরক্ষণেই রোদ হচ্ছে।
‘এমন আবহাওয়ায় এডিস মশা বেড়ে যায়। তাই আমি জনগণকে আহ্বান করছি আপনারা এই সময়টায় অনেক বেশি সতর্ক থাকুন।’
তিনি বলেন, ‘ডিএনসিসি ডেঙ্গুর প্রকোপ নির্মূলে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। শুধু সিটি করপোরেশনের একার পক্ষে নয়, পুরোপুরি নির্মূলের জন্য জনগণকেও দায়িত্ব নিতে হবে।
মেয়র বলেন, ‘দেখা গেছে ড্রেন, জলাশয় এবং নর্দমা থেকে নয়, বরং বাসাবাড়ির জমে থাকা পানি থেকেই এডিস মশা বেশি জন্মায়। আমি অনুরোধ করছি আপনারা বাসাবাড়ির জমা পানি ফেলে দিন।’
‘১০টায় দশ মিনিট প্রতি শনিবার, নিজ নিজ বাসাবাড়ি করি পরিষ্কার’ স্লোগান স্মরণ করে আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে বাড়ির ছাদে, আঙিনায়, ফুলের টবে যেন পানি না জমে। জমে থাকা পানিতেই এডিসের লার্ভার জন্ম হয়। এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে সবাইকে।’
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘মশার প্রজননক্ষেত্র সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করতে নিয়মিত আমাদের কার্যক্রম চলমান। তবে জনগণ সচেতন হলে এডিস মশা নির্মূল করা সম্ভব হবে।’
ডেঙ্গু আক্রান্ত হলে সিটি করপোরেশনকে তথ্য দেয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ডেঙ্গু আক্রান্ত হলে সঙ্গে সঙ্গে ঠিকানাসহ বিস্তারিত তথ্য দিন। তথ্য দিলে আমরা আপনাদের শাস্তি দেব না। বরং আমরা তথ্য পেলে এডিস মশার প্রজননক্ষেত্র ধ্বংস করার ব্যবস্থা নেয়া সহজ হবে। এর ফলে আপনার পরিবারের সদস্যসহ ওই এলাকার বাসিন্দারা ডেঙ্গু থেকে রেহাই পাবেন।’
এ সময় গণমাধ্যমকর্মীর প্রশ্নে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘সিটি করপোরেশন নিয়মিত ডেঙ্গুবিরোধী সচেতনতামূলক প্রচারণা চালাচ্ছে। ড্রোন ব্যবহার করে ছাদে জমে থাকা পানি ও মশার প্রজননক্ষেত্র খুঁজে বের করা হচ্ছে। বাসাবাড়ি ও যেকোনো ভবনে এডিসের লার্ভা পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। নিয়মিত মামলা ও জরিমানা করা হবে।’
প্রচার অভিযানে ডিএনসিসি মেয়র ডেঙ্গু আক্রান্ত একজন রোগীর বাড়িসহ আশপাশের কয়েকটি বাড়ির ছাদে পানি জমে আছি কি না, অত্যাধুনিক ড্রোনের মাধ্যমে কীভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে, তা পরিদর্শন করেন। জনসচেতনতা বাড়াতে তিনি রোড শোতে অংশ নেন এবং জনগণের মাঝে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করেন।
প্রচার অভিযানে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জোবায়দুর রহমানসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।