গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে স্কুলছাত্র শাহরিয়ার রহমান শিহাব হত্যার রহস্য উদঘাটনের দাবি করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত তার তিন বন্ধুকে গ্রেপ্তারের কথা জানানো হয়েছে।
গ্রেপ্তার কিশোরদের বয়স ১৪ থেকে ১৬ বছরের মধ্যে।
গাইবান্ধা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে বুধবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন এসপি তৌহিদুল ইসলাম।
গ্রেপ্তার ১৫ বছরের কিশোরের বাড়ি সুন্দরগঞ্জ উপজেলার মধ্য শান্তিরাম গ্রামে, ১৬ বছরের কিশোরের বাড়ি শান্তিরাম গ্রামে ও একই গ্রামে বাড়ি ১৪ বছর বয়সী আরেক কিশোরের। তারা তিনজন স্থানীয় বেলকা এমসি উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র।
সম্মেলনে বলা হয়, ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণের দাবিতে ঈদের দুই সপ্তাহ আগে ওই তিন কিশোর তাদের স্কুলে পড়া বন্ধু অষ্টম শ্রেণির ছাত্র পূর্ব বেলকা গ্রামের শিহাবকে অপহরণের পরিকল্পনা করে। গত ১৪ জুলাই রাত ৯টার দিকে শিহাবকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় তারা। পরে একটি মোটরসাইকেলে দুই কিশোর শিহাবকে ফুসলিয়ে সিচা বাজারে নিয়ে যায়। পরে সেখানে অন্য কিশোরাও যায়।
এরপর তারা জুসের সঙ্গে ঘুমের ট্যাবলেট মিশিয়ে শিহাবকে জোর করে পান করায়। বাধা দেয়ায় শিহাবের মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করে সুমন। এরপর শিহাব সেখানে অচেতন হয়ে পড়ে।
পরে সেখান থেকে একটি মোটরসাইকেলে করে তিন কিশোর শিহাবকে তুলে নিয়ে যায় ধুবনি গ্রামের একটি ভাড়া বাড়িতে। সেখানে বাড়ির মালিক বিষয়টি বুঝতে পেরে তাদের বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেন। এরপর শিহাবকে মোটরসাইকেলে করে নেয়া হয় তিস্তা নদীর লাল চামার খেয়াঘাটে। সেখানে গিয়ে মুক্তিপণের বদলে শিহাবকে হত্যার পরিকল্পনা করে তারা।
এর পর শিহাবকে বস্তাবন্দি করে তিনবন্ধু চুবিয়ে চুবিয়ে হত্যা করে। মরদেহ নদীতে ফেলে নিজ নিজ বাড়িতে চলে যায় তারা।
ঘটনার পরদিন ১৫ জুলাই শিহাবের মরদেহ নদী থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। পরদিন অজ্ঞাতদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন নিহতের বাবা আতাউর রহমান।
এসপি বলেন, ‘এটি একটি চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ড। হত্যার সঙ্গে সরাসরি জড়িত তিন কিশোরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।’
বিকেলে তাদের আদালতে নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।