রেলের অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে প্ল্যাকার্ড হাতে কমলাপুর রেলস্টেশনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রনির আন্দোলনের কারণ এবং এ বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করণীয় কী তা জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট।
বুধবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই কারণ জানতে চেয়েছে।
সকালে আদালতের কাজ শুরু হলে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খানকে উদ্দেশ করে বিচারক বলেন, ‘আপনি কী ডেইলি স্টার পত্রিকা পড়েছেন? তখন খুরশীদ আলম খান বলেন, পড়েছি।
তখন আদালত বলে, তিন নম্বর পেজ দেখেছেন?
আইনজীবী বলেন, দেখেছি।
তখন আদালত বলে, তিনি (রনি) হাতকড়া অবস্থায় দুর্নীতি সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে, এটা দুদক জানে কি না? জানলে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে কি না- এটা জানান।
আদালত জানায়, তিনি হাতকড়া অবস্থায় ওখানে আন্দোলন করার দরকার কি, তিনি যদি সংক্ষুব্ধ হয় প্রয়োজনে তিনি হাইকোর্টে আসুক। হাইকোর্ট অবশ্যই বিষয়টি দেখবে।
তখন খুরশীদ আলম খান বলেন, ‘বিষয়টি দুদক অফিসে অবহিত করেছি। অফিস তথ্য-উপাত্ত দিয়ে আমাকে জানালে আমি আদালতকে জানিয়ে দেব।’
এ সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
পরে তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘রেলওয়ের টিকিট নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মহিউদ্দিন রনির একক আন্দোলনের বিষয়টি হাইকোর্ট জানতে চেয়েছেন। রাষ্ট্র ও দুদককে জানাতে বলেছেন আদালত।’
রেলের দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে দীর্ঘদিন ধরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রনি। রেলব্যবস্থা সংস্কারে তিনি ছয় দফা দাবিতে এ আন্দোলন করছেন।
গত ১৩ জুন ঢাকা থেকে রাজশাহী যেতে টিকিট কাটার চেষ্টা করেন রনি। কিন্তু তার অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা কেটে নেয়া হলেও পাননি টিকিট। অভিযোগ করেও মেলেনি কোনো প্রতিকার।
রেলওয়ের এমন অব্যবস্থাপনা এবং ভোগান্তির প্রতিবাদে ৭ জুলাই থেকে কমলাপুর রেলস্টেশনের টিকিট কাউন্টারের সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন রনি।