ঝালকাঠি শহরে রাতভর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়সহ বিভিন্ন ব্যাংকের বিশালাকার নিয়নবাতির সাইনবোর্ড চালুর অভিযোগ উঠেছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ে মঙ্গলবার রাত ৮টার পর ঝালকাঠিতে দোকানপাট, বিপণিবিতান, মার্কেট বন্ধ রাখা হয়েছে। এর আগে বিকেল থেকে শহরে মাইকিং করে জানানো হয়েছে রাত ৮টার পর সরকারি আদেশ অমান্যকারীদের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে।
রাত ১১টার দিকে শহর ঘুরে দেখা যায়, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনেই বড় সাইনবোর্ডসহ জ্বলছিল বাগান সৌন্দর্যবর্ধনের ২০টিরও বেশি ঝলমলে রঙিন বাতি।
কামারপট্টি সড়কে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয়ের নিয়ন সাইন। এ ছাড়া কুমারপট্টি সড়ক, কাপুড়িয়াপট্টি সড়ক, কাশারীপট্টি সড়ক ও ডাক্তারপট্টি সড়ক ঘুরে দেখা যায় সরকারি-বেসরকারি অনেক ব্যাংকের বিশালাকারের লাইটিং সাইনবোর্ড জ্বালিয়ে রাখা হয়েছে।
এতে ছিল না কোনো অভিযান বা মনিটরিং। শুধু মাইকে ঘোষণার মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল এই প্রক্রিয়া। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ব্যবসায়ীরা।
কসমেটিকস ব্যবসায়ী জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘সন্ধ্যা হয় ৭টায়। সরকারের ঘোষণা মানতে ৮টার মধ্যেই আমরা দোকানপাট বন্ধ করে দিয়েছি। কিন্তু ব্যাংকগুলো সরকারি ঘোষণা মানেনি। তাদের জরিমানার আওতায় আনা উচিত।’
কাপড় ব্যবসায়ী শামীম শরীফ বলেন, ‘করোনাকালীন থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত সব সময় বিভিন্ন রকম সরকারি বিধি-নিষেধ মানতে গিয়ে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা বেশি পরিমাণে আর্থিক ক্ষতিতে পড়েছে। জেলা প্রশাসকের এ ঘটনায় ব্যাংকের কর্তারা প্রমাণ করেছেন তারা সরকারের ঊর্ধ্বে।’
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসকসহ ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপকদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলীকে এ বিষয়ে মোবাইল ফোনে এসএমএস পাঠানো হলেও তার কাছ থেকে কোনো উত্তর মেলেনি।
তবে রাত ১১টার দিকে ফোনে কথা হয় পূবালী ব্যাংক লিমিটেডের ঝালকাঠি শাখা ব্যবস্থাপক পরিমল চন্দ্র বিশ্বাসের সঙ্গে।
তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি এখনই নাইটগার্ডকে ফোন করে বলতেছি সাইনবোর্ডের বাতি বন্ধ করার জন্য।’
রাতে একাধিকবার কল করেও ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ওজোপাডিকো) ঝালকাঠির নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুর রহিম ফোন রিসিভ করেননি।