বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শিশু ধর্ষণচেষ্টা ধামাচাপার অভিযোগ, শেষে মামলা-গ্রেপ্তার

  •    
  • ১৯ জুলাই, ২০২২ ২১:৩৬

কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদ জানান, সাংবাদিকদের কাছে শুনেই থানা পুলিশকে এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন তিনি।

কিশোরগঞ্জে সাড়ে চার বছরের এক শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ উঠলে বিষয়টি টাকার বিনিময়ে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করা হয় বলেও অভিযোগ ওঠে। পরে এ ঘটনায় মামলা হলে আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

সোমবার রাতে ভুক্তভোগী শিশুটির মা কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় মামলাটি করলে রাতেই আসামি শরীফকে ডাউকিয়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ দাউদ নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ওসি জানান, গ্রেপ্তারের পর আসামিকে আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। স্থানীয় মাতব্বরদের ভয়ে থানায় অভিযোগ দিতে সাহস পাচ্ছিল না ভুক্তভোগীর পরিবার।

এর আগে সদর উপজেলার লতিবাবাদ ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের ডাউকিয়া গ্রামে শনিবার সকালে ধর্ষণচেষ্টার ঘটনাটি ঘটে। অভিযুক্ত ৫০ বছর বয়সী শরীফ মিয়া একই এলাকার মঞ্জিল মিয়ার ছেলে।

শিশুটির বাবা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সেদিন সকালের দিকে মেয়েটি মায়ের পাশে খেলছিল। এ সময় প্রতিবেশী শরীফ তাকে কোলে নিয়ে আদর করতে থাকে। এক পর্যায়ে বাড়ির পাশে কলাগাছের আড়ালে নিয়ে আমার মেয়েকে সে ধর্ষণের চেষ্টা করে। পরে মেয়ের মা দেখে ফেললে শরীফ পালিয়ে যায়।’

মেয়েটির বাবা জানান, ঘটনার পর স্থানীয় মাতব্বর আজিজুর রহমান খান সংগ্রাম ও ইউপি সদস্য ইসমাইল হোসেনকে জানালে তারা থানায় যেতে নিষেধ করেন। পরে রোববার সকালে মেম্বারের বাড়ির সামনে সালিশ ডাকেন। সালিশে অভিযুক্ত শরীফকে জুতাপেটা করে ছেড়ে দেয়া হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা জানান, ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে মাতব্বররা অভিযুক্ত শরীফের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে ওই সালিশের আয়োজন করেন।

তবে আজিজুর রহমান খান সংগ্রাম টাকার বিনিময়ে সালিশ আয়োজন করার কথা অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘দুই পক্ষই গরিব। মামলা মোকদ্দমা করলে উভয় পক্ষেরই টাকা-পয়সা নষ্ট হবে। তা ছাড়া মেয়েটার ভবিষ্যৎ চিন্তা করে সালিশের মাধ্যমে অভিযুক্তকে জুতাপেটা করে ঘটনা শেষ করা হয়েছে।’

টাকার বিনিময়ে সালিশ আয়োজনের কথা অস্বীকার করেন ইউপি সদস্য ইসমাইল হোসেনও। তিনি বলেন, ‘আমরা যেভাবে বিষয়টি শেষ করেছি, ভুক্তভোগীর পরিবার এতে সন্তুষ্ট হয়েছে।’

তবে ধর্ষণচেষ্টার ঘটনা সালিশে সমাধানযোগ্য কি-না, এমন প্রশ্নের কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি ইসমাইল।

এদিকে একই ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য জুয়েল মিয়া বলেন, ‘ঘটনাটি আমিও শুনেছি। বর্তমান মেম্বার সালিশে আমাকেও ডেকেছিল। কিন্তু বিষয়টি সালিশে সমাধানযোগ্য নয়, তাই সেখানে যাইনি।’

কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদ নিউজবাংলাকে জানান, বিষয়টি সাংবাদিকদের কাছে শুনেই থানা পুলিশকে এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন তিনি। পরে রাতেই মামলা দায়েরের পর আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এ বিভাগের আরো খবর