নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর মতো বৃহৎ প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসিকতার প্রশংসা করেছেন চীনের ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসের (এনপিসি) স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান লি ঝাংসু। সেতুটি দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে বলেও আশা তার।
চীনে মঙ্গলবার এক ভার্চুয়াল বৈঠকে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন দেশটির ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসের স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান। লি ঝাংসুর আমন্ত্রণে বৈঠকে নিজ কার্যালয় থেকে অংশ নিয়েছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের চীন ভ্রমণের কথা উল্লেখ করে লি ঝাংসু বলেন, ‘বাংলাদেশ পদ্মা সেতুর মতো সুবৃহৎ অবকাঠামোর সফল নির্মাণ সম্পন্ন করেছে বলে চীন আনন্দিত।’
নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসিকতার প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘সেতুটি বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে।’
এ সময় দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যিক সহযোগিতা, পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়, রোহিঙ্গা ইস্যু, নারী উন্নয়ন ও লিঙ্গ বৈষম্য নিরসন, সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপ বিনিময়সহ পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন শিরীন শারমিন চৌধুরী ও লি ঝাংসু।
স্পিকার বলেন, ‘বাংলাদেশ পার্লামেন্ট ও ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেস অফ চায়নার মধ্যে সম্পর্ক জোরদার করতে দ্বিপক্ষীয় ও ত্রিপক্ষীয় সভা, সেমিনার আয়োজনের মাধ্যমে অভিজ্ঞতা বিনিময় করা যেতে পারে।’
সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপ গঠন করে চীনের সঙ্গে পারস্পরিক সফর বিনিময় বাড়ালে দুই দেশের সংসদ সদস্যরাই উপকৃত হবেন বলেও মত দিয়েছেন স্পিকার।
স্পিকার হিসেবে এবং মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে নারী উন্নয়ন ও লিঙ্গবৈষম্য দূরীকরণে প্রশংসনীয় ভূমিকার জন্য শিরীন শারমিন চৌধুরীকে ধন্যবাদ জানান ঝাংসু।
এ সময় শিক্ষার্থী এবং পেশাদার জনশক্তিকে উচ্চশিক্ষাসহ বিভিন্ন প্রোগ্রামে পারস্পরিক বিনিময়ের মাধ্যমে অ্যাকাডেমিক ও পেশাগত দক্ষতা বাড়াতে দুই দেশের জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বাড়াতে চীনের আগ্রহের কথা প্রকাশ করেন তিনি।
ভার্চুয়াল এ সভায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক কাজী রাসেল পারভেজসহ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।