বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিদ্যুৎ নিয়ে কথা বলে, বিএনপির কি লাজ-শরম নেই: কাদের

  •    
  • ১৯ জুলাই, ২০২২ ১৫:২৬

‘জনগণ বিদ্যুৎ সংযোগহীন খাম্বা দুর্নীতির কথা এখনও ভুলে যায়নি। ভুলে যায়নি বিদ্যুতের দাবিতে মিছিলে গুলির কথা, হারিকেন-কুপি নিয়ে বিক্ষোভ এবং বিদ্যুৎ ভবন ঘেরাও করার কথা। বিএনপি আমলে জনগণ বিদ্যুৎ পায়নি, পেয়েছিল খাম্বা।’

দেশে লোডশেডিংয়ের সূচি করায় বিদ্যুৎ পরিস্থিতি নিয়ে সরকারের সমালোচনা করায় বিএনপি নেতাদের ধুয়ে দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

বিএনপি শাসনামলে বিদ্যুৎ পরিস্থিতির কথা তুলে ধরে তিনি বলেছেন, বিএনপি নেতারা কোন মুখে এই বিষয়ে কথা বলেন। নেতাদের লাজ-শরম আছে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।

বিদ্যুৎ বিভাগ সারা দেশে সময়সূচি তৈরি লোডশেডিংয় শুরু করার দিন মঙ্গলবার রাজধানীতে সরকারি বাসভবনে ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।

ক্ষমতাসীন দলের নেতা বলেন, ‘বিদ্যুৎ নিয়ে বিএনপি কোন মুখে বড় কথা বলে? তাদের কি বিন্দুমাত্র লাজ-শরম নেই? যারা দেশকে অন্ধকারে নিমজ্জিত করেছিল, দিনের পর দিন যাদের শাসনামলে দিনের অর্ধেক সময় লোডশেডিং চলত, শিল্প-কারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল, তারা আজ বিদ্যুৎ নিয়ে কথা বলে!’

২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি শাসনামলে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি ছিল নাজুক। ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি ও তার জোটের বড় পরাজয়ের পেছনে যেসব কারণ কাজ করেছে, তার মধ্যে অন্যতম ছিল বিদ্যুৎ খাত নিয়ে ব্যর্থতা।

এই পাঁচ বছরে বিএনপি সরকার একটিও নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্র করতে পারেনি, উল্টো এর আগে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিভিন্ন কার্যাদেশ বাতিল করেছে। বিদ্যুতের দাবিতে এখানে সেখানে বিক্ষোভ সামাল দিতে গিয়ে হিমশিম খেয়েছে সেই সরকার। এমনকি বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলিও হয়েছে।

বিএনপি নেতাদের সেই দিনগুলো স্মরণ করিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ‘জনগণ বিদ্যুৎ সংযোগহীন খাম্বা দুর্নীতির কথা এখনও ভুলে যায়নি। ভুলে যায়নি বিদ্যুতের দাবিতে মিছিলে গুলির কথা, হারিকেন-কুপি নিয়ে বিক্ষোভ এবং বিদ্যুৎ ভবন ঘেরাও করার কথা।

‘বিএনপি আমলে জনগণ বিদ্যুৎ পায়নি, পেয়েছিল খাম্বা।’

২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পর বিদ্যুৎ খাতকে অগ্রাধিকার নিয়ে কাজ করেছে। এই সময়ে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি নানা প্রকল্পের সুফলও পেয়েছে দেশ। এক যুগে বিদ্যুতের উৎপাদনক্ষমতা ছয় গুণের বেশি বেড়েছে, উৎপাদনও বেড়েছে চার গুণের বেশি। বিদ্যুতের আরও কয়েকটি বড় প্রকল্প উৎপাদনে আসার অপেক্ষায়।

বিদ্যুৎ খাত নিয়ে বরাবর গর্ব করে থাকেন আওয়ামী লীগ নেতারা। তবে গত এক বছরে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেল ও গ্যাসের ব্যাপক মূল্যবৃদ্ধির পর দেশে দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনে সমস্যা হচ্ছে।

বাংলাদেশ সরকারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে তরল গ্যাস বা এলএনজি আপাতত আমদানি করা হবে না। গ্যাসের ঘাটতিজনিত উৎপাদনের যে সংকট সেটি সমাধান করা হবে লোডশেডিংয়ের মাধ্যমে। দেশে এখন দুই হাজার মেগাওয়াট ঘাটতি আছে।

বিদ্যুৎ বিভাগ গত কয়েক বছরে লোডশেডিং শব্দটা ব্যবহার করত না। তারাই এখন লোডশেডিংয়ের জন্য দুঃখ প্রকাশ করছে। আনুষ্ঠানিকভাবে এলাকাভিত্তিক সূচিও ঠিক করা হয়েছে। দিনে এক ঘণ্টা করে লোডশেডিং করে পরিস্থিতি সামাল দিতে না পারলে দুই ঘণ্টা করে লোডশেডিং করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

লোডশেডিংয়ের কারণে বিএনপির সরকার পতনের ‘রঙিন খোয়াব’ অচিরেই দুঃস্বপ্নে পরিণত হবে বলেও মন্তব্য করেন কাদের। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর আস্থা রেখে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে সরকারের নির্দেশনাগুলো মেনে চলার জন্যও জনগণের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।

বিদ্যুৎ পরিস্থিতি সারা বিশ্বেই এখন নাজুক উল্লেখ করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘রাশিয়া -ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে জ্বালানি মার্কেট চরম অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনীতি যাতে বড় কোনো ক্ষতির সম্মুখীন না হয় সে লক্ষ্যে সরকারকে আগেভাগেই কিছু সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।

জাপানের মতো উন্নত ও অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ দেশও তাদের সাড়ে তিন কোটির বেশি মানুষকে নিয়মিত বিদ্যুৎ সুবিধা দিতে পারছে না বলেও উল্লেখ করেন কাদের। বলেন, ‘একই অবস্থা অস্ট্রেলিয়ারও। তাই সবাইকে এই সংকটকালীন সময়ে রেশনিং করতে হচ্ছে। যুক্তরাজ্যে জাতীয় জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে, উন্নত রাষ্ট্র আমেরিকাতেও এসএমএসের মাধ্যমে জনগণকে এনার্জির ব্যবহার লিমিট করতে বলা হয়েছে।’

বিদ্যুৎ পরিস্থিতি সাময়িক জানিয়ে জনগণকে ধৈর্য ধরার এবং সহযোগিতা করার আহ্বানও জানান ওবায়দুল কাদের। বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংকটকে সম্ভাবনায় রূপ দেন। তার ওপর অতীতে যেমন আস্থা রেখেছেন, এখনও রাখুন।’

এ বিভাগের আরো খবর