বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

তলোয়ার প্রসঙ্গে মিডিয়ার প্রতি নাখোশ সিইসি চাইলেন ক্ষমা

  •    
  • ১৯ জুলাই, ২০২২ ১৪:৫১

‘কখনও কখনও আমরা ভুল করে থাকি। আমি হিউমার করতে গিয়েছিলাম, এটা রস৷ এটাকে যদি ওইভাবে প্রচার না করে বস্তুনিষ্ঠভাবে প্রচার করা যেত যে উনি হিউমার করে বলেছেন। … আমি কিন্তু আপনাদের অস্ত্র নিয়ে প্রস্তুত থাকতে বলতাম না সেটা আমি মিন করি নাই। আমাকে ক্ষমা করবেন। ক্ষমা করবেন।’

কেউ তলোয়ার নিয়ে দাঁড়ালে প্রতিপক্ষ দলকে রাইফেল নিয়ে প্রতিরোধের পরামর্শ দিয়ে সমালোচিত হওয়ার পর প্রথমে একে কৌতুক উল্লেখ করে এবার ক্ষমা চাইলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

এই কথাটি রসবোধ ছিল উল্লেখ করে এটিকে গণমাধ্যমে শিরোনাম হিসেবে তুলে ধরায় গণমাধ্যমের প্রতি অসন্তোষও প্রকাশ করেছেন তিনি। আবার বলেছেন, ‘কখনও কখনও আমরা ভুল করে থাকি। সেটা আমি মিন করি নাই। আমাকে ক্ষমা করবেন। ক্ষমা করবেন।’

‘আর যদি মিন করতাম তাহলে তো প্রথম দিন থেকেই আমি সবাইকে বলতাম অস্ত্র সংগ্রহ করতে বলতাম’- এমনটিও বলেন নির্বাচন আয়োজনের দায়িত্বে থাকা সংস্থাটির প্রধান।

মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে ইসলামী ঐক্যজোটের সঙ্গে সংলাপকালে তলোয়ারের প্রসঙ্গটি আবার তোলেন তিনি। দুই দিন আগে দেয়া তার বক্তব্য নিয়ে ঐক্যজোট নেতারা সমালোচনা করলে তিনি তার এমন অবস্থান তুলে ধরেন।

আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে চলমান সংলাপের প্রথম দিন গত রোববার রাজনৈতিক দলগুলোকে যেকোনো মূল্যে ভোটের মাঠে থাকার তাগিদ দেন সিইসি। এ সময় তিনি একটি উদাহরণও টানেন। বলেন, ভোটের মাঠে কেউ যদি তলোয়ার নিয়ে দাঁড়ায় তাহলে প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলগুলোকে রাইফেল অথবা তলোয়ার নিয়ে দাঁড়ানো উচিত।

গণমাধ্যমে তার এই বক্তব্য শিরোনাম হয়ে আসার পর সেদিন বিকেলেই অন্য একটি দলের সঙ্গে সংলাপের সময় নিজের বক্তব্য সংশোধন করেন সিইসি। তখন তিনি বলেন, ‘আপনারা তলোয়ার রাইফেল নিয়ে যুদ্ধ করবেন না, টেবিল বসে যুক্তি দিয়ে কথা বলেন।’

পরদিন সকালে আরও একটি দলের সঙ্গে সংলাপে সিইসি বলেন, তিনি তলোয়ারের কথা কৌতুক করে বলেছেন।

প্রসঙ্গটি নিয়ে চতুর্থ দফার বক্তব্যে হাবিবুল আউয়াল বলেন,' একটা বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে। গত পরশু বলেছিলাম যদি কেউ তলোয়ার নিয়ে আসে আপনারা রাইফেল নিয়ে দাঁড়াবেন। এটা আপনাদের বুঝতে হবে যে একজন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এই কথাটা কখনও মিন করে বলতে পারেন না। আমি হয়তো অল্প শিক্ষিত। অল্প শিক্ষিত মানুষ হলেও এ ধরনের কথা বলতে পারে না।

‘ববি হাজ্জাজ নামের এক ভদ্রলোক, ওনার কথার পিঠে আমি হেসে বললাম তলোয়ার নিয়ে দাঁড়ালে আপনি একটা বন্দুক নিয়ে দাঁড়াবেন। এটা হচ্ছে কথার পিঠে কথা, এটা কখনও একজন প্রধান নির্বাচন কমিশনার মিন করতে পারে না। আর যদি মিন করতাম তাহলে তো প্রথম দিন থেকেই আমি সবাইকে বলতাম অস্ত্র সংগ্রহ করতে। আপনারা অস্ত্র সংগ্রহ করে নিজেদেরকে শক্তিশালী করুন।’

এই বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে প্রচার করায় গণমাধ্যমের প্রতি অসন্তুষ্ট সিইসি। বলেন, ‘আমরা অনেক সময় হিউমার ইংরেজিতে একটি শব্দ আছে রস বা কৌতুক করে বলি। এটাকে একেবারে জাতীয় পর্যায়ে অকাট্য সত্য ঐশী একটা বাণী হিসেবে প্রচার করে দিয়েছে।

‘মিডিয়াকে আমি খুব সম্মান করি। মিডিয়াকে অবাধ সুযোগ দিয়েছি। আমরা কোনো রাখঢাক করি নাই। আমাদের কথা এবং ছবি দুটোই ওখানে আছে। আমাদের সাংবাদিকরা এটা করলেন বুঝে নাকি না বুঝে? ওনাদের প্রতি আমার শ্রদ্ধা অক্ষুণ্ণ আছে। এটা করে আমার মর্যাদাটাকে একেবারে ক্ষুণ্ণ করে দেয়া হয়েছে।’

সিইসি বলেন, ‘আমার বাবা বেঁচে থাকলে উনি হয়তো বিশ্বাস করতেন আমার ছেলে এ রকম বাজে পরামর্শ দিল কেন? আমার মা বেঁচে থাকলে বলতেন, বাবা এত খারাপ পরামর্শ দিলে কেন?

‘আমি এ জন্য বলব কখনও কখনও আমরা ভুল করে থাকি। আমি হিউমার করতে গিয়েছিলাম, এটা রস৷ এটাকে যদি ওইভাবে প্রচার না করে বস্তুনিষ্ঠভাবে প্রচার করা যেত যে উনি হিউমার করে বলেছেন। … আমি কিন্তু আপনাদের অস্ত্র নিয়ে প্রস্তুত থাকতে বলতাম না সেটা আমি মিন করি নাই। আমাকে ক্ষমা করবেন। ক্ষমা করবেন।’

রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা মাঠে থাকবেন। মাঠটা নিয়ন্ত্রণ করবেন আপনারা, যারা যারা প্রার্থী থাকবেন। আপনাদের সহযোগিতা সমর্থন আমি একান্তভাবে কামনা করছি।’

এ বিভাগের আরো খবর