বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জাবিতে সাম্প্রদায়িক হামলার প্রতিবাদ

  •    
  • ১৯ জুলাই, ২০২২ ১৪:৪১

ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক গোলাম রাব্বানী বলেন, ‘একের পর এক সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা হয়েই যাচ্ছে। কারা হামলা করছে, তাদের পেছনে আসলে ইন্ধন দিচ্ছে কারা, তদন্ত করা হোক। তদন্ত করে তাদের বের করে বিচার করা হোক এবং তাদের জাতির সামনে উন্মোচন করা হোক।’

নড়াইলে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারসংলগ্ন সড়কে মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ মানববন্ধন করা হয়। এ সময় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার নিন্দা এবং জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তারা।

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি লায়েক সাজ্জাদ এন্দেল্লাহ বলেন, ‘অসাম্প্রদায়িক চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে লড়াই করেছি। স্বাধীনতার ৫০ বছর পার হলেও সাম্প্রদায়িকতার ঊর্ধ্বে উঠে আমরা কাজ করতে পারছি না। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে নিরাপত্তা দিতে না পারা মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য লজ্জার। অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী আমরা শিক্ষকসমাজ, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলাম, আছি এবং থাকব।’

তিনি আরও বলেন, ‘ধর্মের নামে বিভিন্ন গোষ্ঠী তাদের রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার জন্য ধর্মান্ধ গোষ্ঠীকে লালনপালন করছে। হামলাকারীদের পেছনে কারা আছে এবং কারা হিন্দু সম্প্রদায়ের সম্পত্তি লুট করেছে তা তদন্ত করে বের করা হোক। সরকার যদি জঙ্গি দমন করতে পারে তাহলে এদেরও দমন করা সম্ভব।’

ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক গোলাম রাব্বানী বলেন, ‘আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এক ধর্মের মানুষ যদি নিজের ধর্ম মানে তাহলে সে অন্য ধর্মের মানুষের ওপর আক্রমণ করতে পারে না। আমরা কথায় কথায় ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র দাবি করি। আসলে রাষ্ট্র কতটা নিরপেক্ষ তা এখন প্রশ্নবিদ্ধ।

‘একের পর এক সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা হয়েই যাচ্ছে। কারা হামলা করছে, তাদের পেছনে আসলে ইন্ধন দিচ্ছে কারা, তদন্ত করা হোক। তদন্ত করে তাদের বের করে বিচার করা হোক এবং তাদের জাতির সামনে উন্মোচন করা হোক।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক যুগোল কৃষ্ণ দাস বলেন, ‘কখনোই ধর্ম আমাদের বাঙালি পরিচয়ের আগে হতে পারে না। একের পর এক হামলা, লুটের পর দেখা যায়, প্রশাসন প্রায় নিশ্চুপ থাকে। প্রশাসনের ভেতরেও সাম্প্রদায়িকতা ঘাপটি মেরে আছে। তাদেরও খুঁজে বের করে বিচারের আওতায় আনা হোক।’

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মোতাহার হোসেনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ফাহমিদা আক্তার, অধ্যাপক মহিবুর রৌফ শৈবাল, সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক শামসুল আলম সেলিম।

এ বিভাগের আরো খবর