কিশোরগঞ্জের হাওরে শখের বশে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ মিঠামইন জোনাল অফিসের প্রশাসনিক কর্মকর্তার মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিদল।
ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম অলওয়েদার সড়কের ৪ নম্বর বক্স কালভার্টের নিচ থেকে মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কিশোরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আবুজার গিফারী।
তিনি বলেন, ‘নিখোঁজের সংবাদ পেয়ে সোমবার সন্ধ্যায় জেলা সদর থেকে ৪ সদস্যের একটি ডুবুরিদল ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা করে। সেখানে পৌঁছাতে রাত হয়ে যাওয়ায় উদ্ধার অভিযান শুরু করা যায়নি।
‘পরে আজ সকালে উদ্ধার অভিযান শুরু করলে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।’
এর আগে সোমবার বিকেলে ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম অলওয়েদার সড়কের ভাতশালা সেতুর আগে একটি বক্স কালভার্টের নিচে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ হন তিনি।
৩৫ বছর বয়সী এই কর্মকর্তার নাম হোসাইন হিমেল। তিনি মিঠামইন পল্লী বিদ্যুতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা (সহকারী এনফোর্সমেন্ট কো-অর্ডিনেটর) হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
হোসাইন হিমেল নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চরহাসান গ্রামের বাসিন্দা নূর মোহাম্মদের ছেলে।
মিঠামইন জোনাল অফিসের নিরাপত্তাকর্মী ভূপতি চন্দ্র দাস নিউজবাংলাকে বলেন, ‘হিমেল স্যার ঈদের ২-৩ দিন আগে বাড়িতে গিয়েছিলেন। মাত্র এক সপ্তাহ আগে তিনি কুড়িগ্রামে বিয়ে করেছেন। ঈদের ছুটি কাটিয়ে রোববারই কর্মস্থলে ফেরেন।’
ভূপতি আরও বলেন, ‘আজকেও স্যারের হাতে মেহেদীর রং দেখে বললাম, স্যার কবে বিয়ে করেছেন? বলতেই মুচকি হেসে বললেন, ১২ তারিখে। এ কথা বলেই অফিসের পিয়ন রফিকুল ইসলাম রফিককে সঙ্গে নিয়ে ঝাঁকিজাল নিয়ে শখের বশে মাছ ধরতে বের হন তিনি। পরে শুনলাম স্যার নিখোঁজ।’
মিঠামইন সদরের বাসিন্দা মো. হাদিস জানান, অলওয়েদার সড়কের ৪ নম্বর সেতুর নিচে দাঁড়িয়ে জাল ফেলার সময় পা পিছিলে পানিতে পড়ে যান হিমেল। পরে আর পাওয়া যায়নি।
মিঠামইন থানার ওসি কলিন্দ্র নাথ গোলদার বলেন, ‘খবর পেয়ে সোমবার সন্ধ্যার পরই জেলা সদর থেকে ফায়ার সার্ভিসের একটি ডুবুরিদল ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। আজ সকালে উদ্ধার অভিযান শুরু করে দুপুরে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।’