অনাবৃষ্টি ও দাবদাহ দেখা দিয়েছে দেশের সর্বত্র। টানা খরায় পুড়ছে রংপুর অঞ্চলও। বৃষ্টির জন্য হাহাকার পড়েছে, একই সঙ্গে চলতি বছরের আমন আবাদের সময়ও পেরিয়ে যাচ্ছে।
এ অবস্থায় বৃষ্টি চেয়ে ইস্তিস্কার নামাজ ও বিশেষ দোয়া করেন রংপুর সম্মিলিত ইমাম পরিষদ।
রংপুর কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠে মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে এই নামাজ আদায় করেন আলেম উলেমা ও সাধারণ মুসল্লিরা।
নামাজ শেষে মোনাজাত পরিচালনা করেন রংপুর কারামতিয়া মসজিদের খতিব মাওলানা বায়েজীদ হোসাইন। নামাজে কয়েক শ মানুষ উপস্থিত হন।
নামাজে অংশ নেয়া মাহিগঞ্জের রেজওয়ান কবির বলেন, ‘আমার জীবনে রোদের তাপ এত দেখিনি। ঘরের ভেতরে বা বাইরে কোথাও থাকা যাচ্ছে না। ফ্যানের বাতাসেও কাজ হচ্ছে না।
‘আমি কৃষক। কৃষির ওপর আমাদের এলাকার সবাই নির্ভর করে। পাট কেটেছি, পানির অভাবে সেগুলো জাগ দিতে পারছি না। পাটের জমিতে আমন আবাদ করব, সেটাও করতে পারছি না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমন ধানের বীজের বয়স বেড়ে তা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কঠিন সময় অতিক্রম করছি আমরা। আল্লাহ যেন বৃষ্টি দিয়ে আমাদের উপকার করেন, সেই আশায় এসেছি প্রার্থনা করতে।’
আরেক মুসল্লি আশরাফুল ইসলাম আশরাফ বলেন, ‘আমরা কৃষিকাজ করে সংসার চালাই। বৃষ্টির কারণে আমরা আমন রোপণ করতে পারছি না৷ এই গরমে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তাই বৃষ্টির জন্য আমরা নামাজ আদায় ও দোয়া করলাম।’
নামাজে অংশ নেয়া রংপুর সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র মাহমুদুর রহমান টিটু বলেন, ‘অনেক দিন ধরেই বৃষ্টি নেই রংপুরে। আমরা নামাজ পড়ে আল্লাহর কাছে বৃষ্টি চাইলাম। আল্লাহ যেন আমাদের গুনাহ মাফ করে বৃষ্টি দেন।’
নামাজ ও মোনাজাত পরিচালনাকারী ইমাম মাওলানা বায়েজীদ হোসাইন বলেন, ‘রাসুল (সা.) তার সময়েও বৃষ্টির জন্য এই সালাত আদায় করতেন। আমরাও আদায় করলাম। আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইলাম এবং বৃষ্টি চাইলাম।’
তিনি বলেন, ‘আগামীকাল বুধ ও বৃহস্পতিবার আবার এই মাঠে একই নামাজ আদায় করা হবে।’