বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) করা মামলায় সিটি গ্রুপের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমানকে জামিন দিয়েছে আদালত।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরিফুল ইসলামের আদালতে জামিন আবেদন করলে সোমবার শুনানি শেষে তাকে জামিন দেয়া হয়।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী ওসমান গনি নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ফজলুর রহমানের আইনজীবী জিয়া হাবিব আহসান জানান, আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানার পর সোমবার তিনি অসুস্থ অবস্থায় আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন। তিনি এতই অসুস্থ যে হুইলচেয়ার ছাড়া হাটাচলা করতে পারেন না। তাছাড়া নাকেও অক্সিজেনের নল লাগানো। আদালতে মামলাটি যুক্তিতর্কে যাওয়ার আগ পর্যন্ত তার জামিন মঞ্জুর করেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে বিএসটিআইয়ের মামলায় সিটি গ্রুপের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরিফুল ইসলামের আদালত।
ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধ না করে ভোজ্যতেল বাজারজাতের অভিযোগে ২০১৯ সালে মামলাটি করেছিলেন প্রতিষ্ঠানটির পরিদর্শক রাজিব দাশ গুপ্ত।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ২৯ জুলাই নগরীর উত্তর পতেঙ্গায় অবস্থিত ভিওটিটি অয়েল রিফাইনারি লিমিটেডে অভিযান পরিচালনা করে বিএসটিআই। এ সময় এই প্রতিষ্ঠানে উৎপাদিত সার্টিফাইড সয়াবিন তেল ও সার্টিফাইড পাম অলিনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়। এতে সরকার নির্ধারিত প্যারামিটারে ভিটামিন এ পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে বিএসটিআইর প্যানেল আইনজীবী আশরাফ উদ্দিন খন্দকার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী সয়াবিন তেল ভিটামিন এ সমৃদ্ধ না করে বাজারজাত করে ভিওটিটি অয়েল রিফাইনারি লিমিটেডে বিএসটিআই আইন ও ভোজ্যতেল ভিটামিন এ সমৃদ্ধকরণ আইন লঙ্ঘন করেছে। তাই প্রতিষ্ঠানটির তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে ফজলুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলটি করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার দুপুরে শুনানি শেষে আসামিকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন।’
বিষয়টি আইনিভাবে মোকাবেলা করার কথা জানান সিটি গ্রুপের পরিচালক (অর্থ) বিশ্বজিৎ সাহা। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মামলাটি অনেক পুরোনো। আদালত এভাবে নির্দেশ দেবে সেটি ধারণার বাইরে ছিল। আপনারা তো জানেন, উনি খুবই অসুস্থ মানুষ। পেসমেকার নিয়ে উনি চলাফেরা করেন। এখন কী আর করার। আদালতের ইস্যুটি আইনি বিষয়। আমরা আইনিভাবেই এটি মোকাবিলা করব।’