কিশোরগঞ্জের হাওরে শখের বশে মাছ ধরতে গিয়ে মিঠামইন জোনাল অফিসের প্রশাসনিক কর্মকর্তা নিখোঁজ হয়েছেন।
সোমবার বিকেলে ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম অলওয়েদার সড়কের ভাতশালা সেতুর আগে একটি বক্স কালভার্টের নিচে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ হন তিনি।
৩৫ বছর বয়সী এই কর্মকর্তার নাম হোসাইন হিমেল। তিনি মিঠামইন পল্লী বিদ্যুতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা (সহকারী এনফোর্সমেন্ট কো-অর্ডিনেটর) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি নোয়াখালী জেলার সুবর্ণচর উপজেলার চরহাসান গ্রামের বাসিন্দা নূর মোহাম্মদের ছেলে।
মিঠামইন জোনাল অফিসের নিরাপত্তাকর্মী ভূপতি চন্দ্র দাস নিউজবাংলাকে বলেন, ‘হিমেল স্যার ঈদের ২-৩ দিন আগে বাড়িতে গিয়েছিলেন। মাত্র এক সপ্তাহ আগে তিনি কুড়িগ্রামে বিয়ে করেছেন। ঈদের ছুটি কাটিয়ে গতকাল কর্মস্থলে ফেরেন।’
ভূপতি আরও বলেন, ‘আজকেও স্যারের হাতে মেহেদীর রং দেখে বললাম, স্যার কবে বিয়ে করেছেন? বলতেই মুচকি হেসে বললেন, ১২ তারিখে। এ কথা বলেই অফিসের পিয়ন রফিকুল ইসলাম রফিককে সঙ্গে নিয়ে ঝাঁকিজাল নিয়ে শখের বশে মাছ ধরতে বের হন তিনি। পরে শুনলাম স্যার নিখোঁজ।
মিঠামইন সদরের বাসিন্দা মো. হাদিস জানান, অলওয়েদার সড়কের ৪ নম্বর সেতুর নিচে দাঁড়িয়ে জাল ফেলার সময় পা পিছিলে পানিতে পড়ে যান হিমেল।
মিঠামইন থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি কলিন্দ্র নাথ গোলদার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘খবর পেয়ে জেলা সদর থেকে ফায়ার সার্ভিসের একটি ডুবুরিদল ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। আগামীকাল সকালে উদ্ধার অভিযান শুরু হবে।’
এদিকে কিশোরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আবুজর গিফারী নিউজবাংলাকে বলেন, নিখোঁজের সংবাদ পেয়ে জেলা সদর থেকে ৪ সদস্যের একটি ডুবুরিদল ঘটনাস্থলে গেছে। সম্ভব হলে রাতেই উদ্ধার অভিযান শুরু হবে।